পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুজা ক্ৰনিউক্লী সহরে জমির বড় দাম। সহরে জমি কিনিয়া বাড়ী করিবার ক্ষমতা যাদের নাই, কিন্তু সাধ আছে, কর্পোরেশনের এলাকার মধ্যেও জমি কিনিয়া বাড়ী করিবার ক্ষমতা যাদের নেই। কিন্তু সাধ আছে, তারাই অগত্যা এখানে জমি কিনিয়া বাড়ী করিতেছে। কয়েক বছর আগে এ অঞ্চলটি ছিল সঙ্গুরের গা-ঘেঁষা পাড়াগ, সম্প্রতি দুটি একটি করিয়া বাড়ী উঠিতে উঠিত এলোমেলে। কয়েকটি পাড়া গড়িয়; উঠিতেছে। কোন বাড়ীর মালিক ভোগ করিতেছেন পেন্সন, কোন বাড়ীর মালিক ভরসা করিতেছেন পেন্সনের, কোন বাড়ীর মালিক ওসব ভরসা ছাড়াই দিব্যি চাকরী করিতেছেন। মহামহেশ্বরীপুর পাড়াটিতে বাড়ী আছে গোটা পনের, তার মধ্যে গোটা পাঁচেক বাড়ীকে দোতলা বলা চলে-দুটি বাড়ীর ছাদে ঘরের মত কিছু একটা তোলা হইয়া থাকিলেও কোনমতেই দোতলা বাড়ীর পৰ্য্যায়ে ফেলিতে ইচ্ছা হয় না। এই সব বাড়ীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মালিকের মিলিয়া কয়েক বছর আগে একটি কমিটী গঠন করিয়াছেনমহামহেশ্বরীপুর দুর্গাপূজা কমিটী। কমিটীর উদ্যোগে কয়েক বছর পাড়ায় পূজা হইয়াছে। এ বছর পূজার মাসখানেক আগে ছুটির দিন দেখিয়া মনোহর বাবুর বাড়ীর সামনে প্রশস্ত লনে কমিটীর মিটিং আহবান করা হইল। ছটায় মিটিং বসিবে। মনোহর বাবুর ছেলেরা নিজেদের আর তিনজন প্রতিবেশীর বাড়ীর চেয়ার বেঞ্চি সংগ্ৰহ করিয়া মিটিং-এর আয়োজন করিল-প্রসিডেণ্টের জন্য রাখা হইল একটি সোফা আর সোফার Sa