পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ করা, টাকা পয়সার হিসাব রাখা সমস্ত দায়িত্ব সম্পাদকের। যতীনবাবু একটু সরল গোবেচারী মানুষ, সামান্য বেতনে চাকরী করেন এবং বিনয়ে সব সময় সকলের কাছে অবনত হইয়া থাকেন-গত বারের মিটিং-এ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় প্রথমটা এত বড় সম্মান লাভ করিয়া তিনি ধন্য হইয়া গিয়াছিলেন। তারপর অবশ্য টের পাইয়াছিলেন। नष्टांक इटSशद्ध भड । গগনবাবু বলিলেন, ‘বাঙালীর সময় জ্ঞান তো ? বলিয়া সেন মস্ত একটা রসিকতা করিয়াছেল এমনিভাবে হাসিলেন। বিকাশ বলিল, “সময় জ্ঞান আছে বলেই তো ওঁদের আসতে দেরী হচ্ছে।” জাতি হিসাবে বাঙালী তথা ভারতীয়দের যে সব জাতিগত দোষ বিদেশীয়ের সঙ্গে তুলনামূলক সমালোচনায় আবিষ্কৃত, প্রমাণিত, স্বীকৃত ও প্রচারিত হইয়া পুরানো হইয়া গিয়ৗছে, গগনবাবুর মন্তবো সেইগুলি কাজে লাগে। নূতন যুগের নূতন যুক্তির বিচারে ওই সব দোষের কোনগুলির খণ্ডন হইয়াছে, কোনগুলির রূপান্তর ঘটিয়াছে, রোগের জীবাণু সরবরাহকারী জীবের মত কোন কারণের ঘাড়ে চাপিয়া কোন দোষ কিসের উপর গিয়া পড়িয়াছে, এসব খবর গগনবাবু রাখেন না। বিকাশের কথাটা না বুঝিয়া তিনি তাই তার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “একবার ডাক দিয়ে আসুন না। সকলকে ’ বিকাশ সংবাদপত্রে চাকরী করে, বয়স খুব কম, সাতাশ আটাশের বেশি নয়। রোগা চেহারা, মুখে গভীর শ্ৰাস্তির সঙ্গে নির্বিকার উদাস ভাব মিশিয়া আছে, চোখ দু’টি যেন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভারে ভারাক্রান্ত। পাড়ার কারও বাড়ীতে তার বিশেষ যাতায়াত নাই, পাড়ার ব্যাপারে মাথাও সে বেশি ঘামায় না, সার্বজনীন দুর্গোৎসবের VOo