পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা কমিটী সকলের চােদপুরুষ উদ্ধার করিতেন! পূজা কাটিয়া যাওয়ার কয়েকমাস পরেও যতীনবাবুর জ্বালা কমে নাই, মাঝে মাঝে নিজেই কথা তুলিয়া বিকাশের কাছে মনের বাবা প্ৰকাশ করিতেন এবং বারংবার প্রতিজ্ঞ করিতেন যে, কোন শালা আর পূজা কমিটীর সম্পাদক হয়। বিকাশ আশা করিতেছিল, রিপোটে কাৰ্য্য নির্বাহের ব্যবস্থা ও সংগঠনের ক্রটির কথাটা অন্তত ইঙ্গিতেও যতীনবাবু উল্লেখ করিবেন, কিন্তু নিজের ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাহিয়া যতীনবাবু রিপোর্ট শেষ করিলেন। বিকাশের মনে হইল, আজ যদি সভায় যতীনবাবুকে আবার সম্পাদক করিবার প্রস্তাব করা হয়, কোন অভিযোগ না করিয়া বর্তমান ব্যবস্থার কোনরকম সংস্কার বা পরিবর্তন দাবী না করিয়া, যতীনবাবু হয় তো রাজী হইয়া যাইবেন । ধাপ করিয়া পাশে বসিয়া পড়িয়া যতীনবাবু প্ৰায় রুদ্ধশ্বাসে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন হয়েছে ?” বিকাশ সংক্ষেপে বলিল, “বেশী।” সোজাসুজি করুণা ও অবজ্ঞার ভাব মনের মধ্যে জাগাইয়া তুলিবার ক্ষমতা বিকাশের হয় না, তার নিজের মেরুদণ্ডও শক্ত নয়। নূতন যুগের নূতন চিন্তার কতগুলি খোসা কুড়াইয়া গিলিয়া ফেলার ফলে তার শুধু বদ-হজম হইয়াছে। অন্যের দুর্বলতায় সে তাই কেবল বিদ্বেষ অনুভব করে। কেদারবাবু মিটিং-এর প্রেসিডেন্ট হইয়াছেন, আসলে সভাপতিত্ব কিন্তু করিতেছিলেন গগনবাবু। তিনিই সকলকে সম্পাদকের রিপোর্ট অনুমোদন করিতে অনুরোধ করিলেন, সম্পাদকের ত্যাগ, কর্মনিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের প্রশংসা করিলেন-কি কায়দাদুরন্তু তার ভাষা, কত বড় বড় শব্দের ফোড়ন তাতে! আত্মপ্রত্যয়ের আতিশয্যে ভদ্রলোকের N90