পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুজা কমিটী নামিয়া এ বাড়ীর লনে ক্ষুদ্র সভার দিকে চাহিতে চাহিতে ভিতরে যায়। বিকাশ বুঝিতে পারে, মিঃ দাস সপরিবারে মিঃ দে’র বাড়ী বেড়াইতে আসিয়াছেন। মিঃ দে পাড়ার মধ্যে কালচারের রাজা । ছেলেমেয়ের কলেজে পড়ে, টেনিস খেলে, সাজগোজ করে, গোল হইয়া বসিয়া । সকলে মিলিয়া চা খায়, মিহি সুরে কথা বলে, সাহিত্য ও সংস্কৃতির । আলোচনা করে, পাড়ার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করে। না। মিঃ দে মিটিং-এ যোগ দেন নাই। তবে তিনি বরাবর পাঁচ টাকা চাদ দিয়া থাকেন। অবস্থা ও চেহারা যেমন হোক, কাপড়জামা, চালচলন ও কথায় ; একটু মার্জিত রুচির পরিচয় দিতে পারে বলিয়া মিঃ দে’র বাড়ীতে বিকাশ একটু আমল পায়। মিঃ দাসের পরিবারের সঙ্গেও তার পরিচয় আছে। সভা ছাড়িয়া পাশের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য বিকাশের মনটা হঠাৎ চঞ্চল হইয় ওঠে ! এই পারিপাৰ্থিকতা আর ভাল লাগি- “ তেছে না, এতগুলি মানুষ অভিনয় করিতেছে, প্ৰাণের অভিনয় করিতে পারে না কেন ? তরুণ তিন জন পর্যন্ত আড়ষ্ট হইয়া বসিয়া আছে। এই কি শারদোৎসবের, বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসবের छूभिकों ? হঠাৎ গগনবাবুর দিকে চোখ পড়ায় বিকাশ অবাক হইয়া যায়। মেরুদণ্ড বাকিয়া গিয়াছে গগনবাবুর, মুখ প্ৰায় নামিয়া আসিয়াছে হ’হাতে চাপিয়া ধরা লাঠির হাতলের কাছাকাছি,-নিম্প্রভ জ্যোতিহীন মুখ। হঠাৎ কি হইল গগনবাবুর ? সুরেশবাবু বলিতেছিলেন, “তা’হলে এই ভাবে প্ৰস্তাব করা হোক। শ্ৰীযুক্ত গগনচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্যকে পুনরায় আমাদের প্রেসিডেণ্ট হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি অসম্মত হওয়ায় \O