পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ এত শীগগির বাড়ী ফিরিয়া কোন লাভ নাই। মাধুরীদের বাড়ীতে যদি যায়, কেমন হয় ? মাধুরী হয় তো দু’একখানা গান শোনাইতে পারে, তারপর হয় তো তার সঙ্গে বেড়াইতে যাইতে ও রাজী হইতে পারে। কিন্তু বড় ক্ষুধা পাইয়াছে, কিছু খাইয়া যাওয়া দরকার, মাধুরী ভো শুধু এক কাপ চা খাইতে দিবে। সেদিন রাত্ৰি ন’টার সময়ও হরেন বাড়ী ফিরিল না। নরেন। আর বিমলকে ভাত দিয়া মায়া দু’বাটি দুধ ও দু’জনের থালার সামনে আগাইয়া দিল । বিমল আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, “দুধ কেন ?” নরেন বলিল, ‘দাদার দুধ আছে তো ?” মায়া বলিল, “ওঁর দুধ লাগবে না।” খাইয়া উঠিয়া নরেন ঘরে গেল, আপিসে একজন একপয়সা দামের একটি চুরুট উপহার দিয়াছিল, বিছানায় আরাম করিয়া বসিয়া সবে চুরুটটি ধরাইয়াছে, হারেনের ছোট মেয়ে অমলা আসিয়া খবর দিল, “বাবা তোমায় ডাকছে কাকু।” নরেন অন্য কথা ভাবিতেছিল, ইতিমধ্যে দাদা কখন বাড়ী ফিরিয়াছে টেরও পায় নাই। জানালার সিমেণ্টের উপর চুরুটটি নামাইয়া রাখিয়া একটু অস্বস্তির সঙ্গেই সে হারেনের কথা শুনিতে গেল। এমন সময় বাড়ী ফিরিয়া তাকে ডাকিয়া হরেনের কি বলিবার থাকিতে পারে ? হরেন তাকে পাঁচটি টাকা দিয়া বলিল, “একেবারে টাকা নেই বলেছিলে, এই টাকা কটা রাখে। আর শোনো, বসাকদের কোম্পানীতে একটা কাজ ঠিক করে এলাম। বুড়ো কদিন থেকে আমায় বলছিল তুমি তো চেনো বুড়োকে, চেনো না ? শরীরটা ভাল যাচ্ছে না, কিন্তু । 8ህ” ,