পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नमूद्र प्रश्चां চোখ ? দেখিয়া বিকাশের যদি বিতৃষ্ণা জাগে, জাগিবে। চোখ দুটি একটু সুন্দর কম বলিয়াই যার ভালবাসা কপুরের মত উড়িয়া যায়, তাকে রাণী চায় না। কি দাম আছে। ওরকম মানুষের ? কাজলবিহীন বিশ্ৰী চোখ সমেত তাকে যে চাহিবে, না হোক সে বিকাশের মত বড়লোক, তার সঙ্গেই সে সুখী হইবে জীবনে। কিন্তু কল্পনার সেই উদ্ধত সাহসের চিহ্নটুকু আজ রাণী নিজের মধ্যে খুজিয়া পায় না। কথাটা মনে পড়িবামাত্র সেই যে বুকটা ধড়াস করিয়া উঠিয়াছিল, তারপর মনে হইয়াছিল একটা অদৃশ্য কি যেন তার বুকটা এত জোরে চাপিয়া ধরিয়াছে যে নিশ্বাস টানিতেও তার কষ্ট হইতেছে, এখনও বুকের মধ্যে সেই চাপ একটুও কমে নাই। তাড়াতাড়ি ছোট ছোট নিশ্বাস নিতে হইতেছে। রাণীকে, গাড়ী চলিতে না থাকিলে বিকাশ কিন্তু বিকাশ কিছু একটা নিশ্চয় টের পাইয়াছিল। অন্যদিন সে কত কথা বলে, আজ নীরবে গাড়ী চালাইয়া যাইতে লাগিল । বাণীর তখন মনে পড়িতেছে নিজের বর্তমান জীবনের কথা ; এ ভাবে তারা কতদিন চলিবে । সমস্ত সকালটা বিনয়বাবুর ছেলেমেয়েদের পড়াইতে কাটিয়া যায়, নিজের তাড়াতাড়ি ক্লাস থাকিলে বিকালে গিয়া পড়াইয়া চার ঘণ্টা পূর্ণ করিতে হয়। তাও আর বেশী দিন চলিবে না। বিনয়বাবু পুরুষ মাষ্টার রাখিবেন, পেটে যার বিদ্যা আছে। বাড়ীর কাজ করার সময় রাণী পায় না । মেয়েমানুষ খাওয়ার সময় পায় আর কাজ করার সময় পায় না, এত বড় অপরাধ ক্ষমা করার উদারতা এ বাড়ীর কারো নাই। সকলে খোচায়, সময় সময় সে খোচা গালাগালির পর্যায়ে গিয়া পড়ে। রাণী মুখ বুজিয়া সহ্যু কবিষ, ; যায়। সে জানে প্ৰতিবাদ করিয়া লাভ নাই, প্ৰতিকার Գo