পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कङछ। দোকানের জোরালো আলোর সীমানা হইতে গাড়ী যতক্ষণ সরিয়া না যায়, রাণী খোপাই ঠিক করিতে থাকে। তারপর জোরে একটা নিঃশ্বাস ফেলিতে গিয়া সামলাইয়া নিয়া হাত নামাইয়া নেয়। মনটা হঠাৎ তার এমন বিষগ্ন হইয়া গিয়াছে বলিবার নয়। এমন একটা গভীর অবসাদ আসিয়াছে যে মস্তিষ্কের মধ্যে তার স্বাদের গুরুত্বটা যেন ভারি জিনিষ বুকে কবিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়া পাতাডের নীচে অসহায় অবস্থায় পড়িয়া থাকিবার স্বপ্ন দেখার মত স্পষ্ট অনুভব করা যায়। “সোজা বাড়ী যাবে ? গঙ্গার ধারে একটু ঘুরে গেলে বোধ হয় তোমাক ভাল লাগত। যাবে ?” রাণী অস্ফট স্বরে বলে, “চলুন।” হঠাৎ আবার ধাক্কা খাওয়ার মত চমক দেওয়া উত্তেজনায় তার বুকের মধ্যে টিপ ঢিপ কলিতে আরম্ভ কলিয়াছে। গঙ্গার ধারে । বিকাশ। তবে নিশ্চয় আজ কিছু তাকে বলিবে, একটা লেখাপড়া করিয়া ও ফেলিবে তার সঙ্গে । কাজল না দেওয়া চোখ দেখার সুযোগ তো গঙ্গার ধারে নাই-এতদিন তার যে চোখ বিকাশ দেখিয়া আসিয়াছে সেই চোখের কথা কল্পনা করিয়াই বিকাশ আজ নিজেকে বঁবিয়া ফেলিবে। কত উদভ্ৰান্ত কল্পনাই বঁধভাঙ্গা স্রোতের মত রাণীর মনে ভাসিয়া আসিতে থাকে। মাঠ ও গঙ্গার মধ্যে বিস্তীর্ণ রাস্তায় গাড়ীর গতি শিথিল করিয়া দেওয়া মাত্র তার সর্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হইয়া ওঠে। কিন্তু বিকাশ যে কি ভাবিতে থাকে নিজের মনে সেই জানে, মুখে যেন আজ তার কথাই নাই। পাশে যে রাণী বসিয়া আছে, সব সময় যেন এটা তার খেয়ালও থাকিতেছে না । রাণীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে কমিয়া আসে। গাড়ী ছাড় করাইয়া GNC)