পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जमूर्णुद्र श्वांगा থাকাটা অন্যায় নয়, তাই শাসনটা ন্যায়সঙ্গত হয় নাই জানিবার পরেও ছেলেকে একটা চড়া ফাউ দিয়া রাগে গরগর করিতে করিতে ধনদাস छवि (6ांव । খানিক পরে কৃত্তিবাস বলিল, ‘রোজ সবাই মারে, কিছু করলেও মারে না করলেও মারে। চল আমরা বাড়ী ছেড়ে পালাই ।” কৃত্তিবাসের দু'চোখ জবাফুলের মত লাল হইয়া উঠিয়াছিল, ঠোঁট দিয়া রক্ত পড়িতেছিল। দিবাকরের মসৃণ তেলতোলা গালে শুধু দু’টি আঙ্গুলোর দাগ পড়িয়াছে। জলে ভরা চােখের স্তিমিত দৃষ্টিতে ডোবার ওপাড়ে একটা গো-সাপের চালচলন দেখিতে দেখিতে বয়স্ক মানুষের মত মাথা হেলাইয়া বন্ধুর প্রস্তাবে সায় দিয়া সে বলিল, “আমার মামাবাড়ীতে একটা চাকর ছিল, বাজারের পয়সা চুরি করেছে বলে মামা একদিন এমনি করে মেরেছিল। চাকরিটাকে । সেদিন সত্যি পয়সা চুরি করেনি। রাত্তির বেলা চাকরাটা পালিয়ে গেল, যাবার আগে করল। কি জানিস, ঘরের চালে আগুন ধরিয়ে গেল। এমন জব্দ হয়ে গেল মামা ।” শুনিয়া কৃত্তিবাস বলিল, “আমিও চালে আগুন দিয়ে পালাব ।” দিবাকর সায় দিয়া বলিল, “তাই উচিত। যা রান্নাঘর থেকে আগুন নিয়ে আয় ।” উনানের একটা জলন্ত কাঠ হাতে করিয়া কৃত্তিবাস ফিরিয়া আসিলে দিবাকর কাঠটা তার হাত হইতে নিজে গ্ৰহণ করিল। “আমায় দে। নিজেদের বাড়ীতে নিজে আগুন ধরাতে নেই।” শীত তখন সবে শেষ হইয়াছে, ঘরের চালাগুলি যেন দাউ দাউ করিয়া জ্বলিয়া উঠিবার জন্য এমনি একটি সুযোগের প্রতীক্ষা করিতেছিল। আগুন লাগিলে নাকি তার বন্ধু বাতাস আসিয়া জোটে । صیه