পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন-বিদ্রোক্রান্তৰ স্বাদক সমুদ্র দেখিবার সাধটা নীলার ছেলেবেলার। কিছুদিন স্কুলে পড়িয়াছিল। ভূগোলে পৃথিবীর স্থলভাগ আর জলভাগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে। কিন্তু তার অনেক আগে হইতেই নীলা জানিত পৃথিবীর তিনভাগ জল, একভাগ স্থল। সাতবছর বয়সে বাবার মুখে খবরটা শুনিয়া কি আশ্চৰ্য্যই সে হইয়া গিয়াছিল! এ কি সম্ভব ? কই, সে তো রেলে চাপিয়া কত দূরদেশ ঘুরিয়া আসিয়াছে, মামাবাড়ী যাইতে সকাল বেলা রেলে উঠিয়া সেই রাত্ৰিবেল পৰ্যন্ত ক্ৰমাগত হুহু করিয়া চুটিয়া চলিতে হয়, কিন্তু নদীনালা খালবিল ছাড়া জল তো তার LBD KBD DDS BBDD DS DD DDD BDYBS BBDB uBD শুধু মাটি আর গাছপালা। তারপর কত ভাবে কত উপলক্ষে ছাপার অক্ষর, মুখের কথা আর স্বপ্নের বাহনে সমুদ্র তার কাছে আসিয়াছে। বলাইদের বাড়ীর সকলে পুৱী। গিয়া কেবল সমুদ্র দেখা নয়, সমুদ্রে মান করিয়া আসিল। কলিকাতায় সায়েব-কাকার ছেলে বিনুদা বিলাত গেল,-সমুদ্রের বুকেই নাকি তার কাটিয়া গেল অনেকগুলি দিন। সমুদ্রের জল মেঘ হইয়া নাকি বৃষ্টি নামে, মাছ-তরকারীতে যে নুন দেওয়া হয়। আর থালার পাশে একটুখানি যে নুন দিয়া মা দু’বেলা ভাত বাড়িয়া দেন, সে নুন নাকি তৈরী হয় সমুদ্রের জল শুকাইয়া! সারাদিন গরমে ছটফট করার পর সন্ধ্যাবেল যে ফুরফুরে বাতাস গায়ে লাগানোর জন্য তারা ছাদে গিয়া বসে, সে বাতাস নাকি আসে সোজা সমুদ্র হইতে!