পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ বাড়ীর কথা ভাবিলে এখনও তার সর্বাঙ্গ ঘামে ভিজিয়া যায়, পোকায় কাটা দাতের মত গাল আর বুক ও পিঠের পোড়া দাগের যায়গাগুলি শির শিরা করে, ধোয়া লাগার মত কাণ চোখ জালা করে। সাত আট বছরের মধ্যে তাই দু’জনের একজনও বাড়ী গেল না। দিবাকর গেল না। পিসীর অনিচ্ছায়, কৃত্তিবাস গেল না নিজের অনিচ্ছায়। তারপর একদিন একটা কড়া তাগিদ আসিল ধনদাসের কাছ হইতে। ধনদাস শুধু বাড়ী যাওয়ার তাগিদ দেয় নাই, আরও অনেক कgां कथi विश्विाgछ । কৃত্তিবাস বলিল, “এবার কি করি ?” দিবাকর বলিল, “বাড়ী যা । সেই যে শৈলেন ছেলেটা পড়ত না। আমাদের সঙ্গে, সেও এমনি করে ব্যাপকে চটিয়েছিল, মরবার সময় ওর বাবা ওকে একটি পয়সা দিয়ে যায় নি। কাকাবাবুর কথা শুনে চলিস বুঝলি ?” কৃত্তিবাস বলিল, “তুই ও আয় না ?” দিবাকর বলিল, “থাক, গে, পিসীমা আবার রাগ করবে।” সুতরাং কৃত্তিবাস একাই বাড়ী চলিয়া গেল। কয়েকদিন মুখ ভার করিয়া থাকিয়া পিসী হঠাৎ একদিন দিবাকরকে জিজ্ঞাসা করিল, *ও বাপের টাকা পাক বা না পাক, তা দিয়ে তোর এত মাথা ব্যথা কেন রে দিবু ?” দিবাকর এখন বড় হইয়াছে, মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ে, এখন আর তাকে দেখিলে আগের মত ততটা মনে হয় না যে, কাদের বাড়ীর সে হারানো ছেলে, এখুনি বুঝি মুখে আঙ্গুল দিয়া মার জন্য কঁাদিয়া ফেলিবো। আজকাল আর তেমনভাবে পিসীর বুকে বাৎসল্য উথলাইয়া উঠে না । কেবল ব্ৰণের দাগ বা গোফ দাড়ির চিহ্নহীন Var 8