পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আততায়ী তার বালকের মত কোমল তেলতোলা মুখ আর বড় বড় চোখের দুশ্চিন্তাভার দৃষ্টি দেখিয়া প্ৰত্যেকবার অভ্যস্ত মমতাটা জোরে নাড়া খায় । দিবাকর কিছুই বলিল না, শুধু আহত বিস্ময়ে পিসীর দিকে চাহিয়া রহিল, যে দৃষ্টি দেখিয়া পিসীর সাধ হইতে লাগিল তার বাদামী রঙের গালে একটা চুমা খাইয়া কাণে কাণে বলে, “ষাট ষাট সোণা আমার !" তবে রোগে ভূগিতে ভুগিতে আরও শুকাইয়া গিয়া পিসীর মেজাজটা আজকাল একটু খিটখিটে হইয়া উঠিয়াছে কি না, তাই সাধটা দমন করিয়া আবার বলিল, “ওকে পাঠিয়ে দিলি, নিজে তুই গেলি না। মা না তোর খুব কঁদে তোর জন্য ? মাকে কঁাদিয়ে দুই পড়ে আছিস আমার কাছে, এতই তুই ভালবাসিস আমাকে ৷” দিবাকর এবারও কিছু বলিল না। বেশীক্ষণ পিসীর উত্তেজনা সহ্য হয় না, বুক ধড়ফড় করে, মাথা বিমঝিম করে। এবার তাই হার মানিয়া পিসী দিবাকরের গায়ের উপর ঝাপাইয়া পড়িল, দু’হাতে তাকে সবলে আঁকড়াইয়া ধরিয়া পিসী কঁাদিতে কঁাদিতে বলিতে লাগিল, “আমি কি জানি না। তুই কেন আছিস আমার কাছে! আমার জন্যে তোর এক ফোটা মায়া নেই। তোকে চিনতে কি আমার বাকী আছে রে মুখপোড়া ছেলে ?” পিসী একটু শান্ত হইলে দিবাকর জিজ্ঞাসা করিল, “একবার বাড়ী যাবে নাকি পিসী ?” त्रिनी शांथी नांख्बिा बलिव्न, ‘लैंछ।' “যাই না একবারটি ? দু’দিনের জন্য ?” “না । একেবারে আমার চিতায় আগুন দিয়ে যাস ।” আদেশটা দিবাকর -পালন করিতে পারিল না। কয়েক মাস y(2