পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আততায়ী সোহাগে যে তীব্র ও তীক্ষ্মণ স্বাদ অনেকদিনের বঞ্চিতা ও অবহেলিতা ঈী পায়, গত দুমাস যে স্বাদ পাইয়া মহামায়ার রাত্রিগুলি ভাবাবেগে উদ্বেল হইয়া উঠিয়াছে, আজ যেন সেটা কোনমতেই খুজিয়া পাওয়া গেল না । তার স্বামীর ঘাড় ভাঙ্গে বলিয়া দিবাকরের উপর রাগ ভওয়ার বদলে ঘাড়া ভাঙ্গিতে দেয় বলিয়া কৃত্তিবাসের বিরুদ্ধেই একটা অসহায় ক্ষোভ সারাক্ষণ মনের মধ্যে গুমরাইতে লাগিল । তারপর একে একে অনেকগুলি রাত্ৰি আসিয়া চলিয়া গেল, তুলিয়া রাখা কথাটা মহামায়ার আর পাড়া হইল না। প্রথমদিকের কয়েকটা রাত্ৰে ভাবিল, ক’দিন পরে কথাটা তুলিব, তারপর আরও কতগুলি রাত্ৰি কাটিয়া যাওয়ার পর ভাবিতে লাগিল, কি আর হইবে 'eतथा डूनिश ! সেবা সে করিতে লাগিল দু’জনের, মান গম্ভীর মুখে। ডাল তারকারী মাছের ঝোলে স্বাদ আসিল, হঠাৎ একদিন ময়লা জামা কাপড়ের স্তপ ঘাটিয়া কাজ চালানো গোছের ফস। জামা কাপড় পুঁজিবার প্রয়োজন মিটিয়া গেল, ঘরাঢ়য়ার হইল সাজানো গুছানো পরিষ্কার । ঘরে তৈরী নিমকি সিঙ্গাড়া মুখে দিয়া চা খাইতে খাইতে দিবাকর বালিতে লাগিল, “আগে তোমাকে আনানো হয়নি বলে কি আফশোষটাই যে হচ্ছে এখন ৷” আর মৃদু হাসিয়া কৃত্তিবাস বলিতে লাগিল, “তুই বললেই আনতাম। 'ওতো আসবার জন্যে পা বাড়িয়েই ছিল।” আর দিবাকরের পলকহীন স্তিমিত দৃষ্টিপাতে স্বামীর খাপছাড়া মন্তব্যের একটা লাগসই জবাব দিবার উপক্ৰম করিয়াও মহামায়া চুপ করিয়া যাইতে লাগিল । S 9)