পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্য৷ তাহার চক্ষুর মধ্যে আস্তে আস্তে ফু দিলে, যদি সে চক্ষু বন্ধ করিতে চেষ্ট৷ না পায়, তবে তাঁহার নিদ্র হইয়াছে বলিয়া বুঝিবে। ইহা গভীর নিদ্রার পরিচায়ক । (৪) পাত্রের একখানা হাত আস্তে আস্তে উঠাইয়া উহা উৰ্দ্ধবাহুর’ স্তায় খাড়া করিয়া রাখিবে এবং ঐরাপ করিবার সময় গম্ভীর ও আদেশস্বচক স্বরে বলিবে—“তোমার এই হাতখানাকে আমি সোজা ভাবে দাড় করাইয়া রাখিব ; উহা শক্ত হইয়া সরল রেখার স্থায় দাড়াইয়া থাকিবে এবং কিছুতেই উহা শিথিল হইবেন বা পড়িয়া যাইবে না। তোমার হাত খান ক্রমে ক্রমে খুব শক্ত হচ্ছে—আরও শক্ত হচ্ছে—লোহার মত শক্ত হচ্ছে—উহ! কিছুতেই পড়িবে না-কখনও পড়িবে না; যতক্ষণ আমি তোমাকে উহা শিথিল করিতে না বলিব, ততক্ষণ উহ! লোহার শলার মত শক্ত হইয় দাড়াইয়া থাকিবে এবং উহাতে তোমার ঘুমের কোন ব্যাঘাত হইবে না।” দুই-তিন বার এইরূপ আদেশ করার পর, তাহার হাত খানা শক্ত হইলে, কিছুক্ষণের জন্য উহাকে ঐরুপ ভাবে অবস্থান করিতে দিবে, কিন্তু মাঝে মাঝে এক একবার টিপিয়া দেখিবে যে, উহা পূর্বের ন্তায় শক্ত আছে কি না ? যদি উহা শিথিল না হইয়া বরাবর দৃঢ়ভাবে দণ্ডায়মান থাকে, তবে তাহাকে নিদ্রিত বলিয়া বুঝিবে। তৎপরে চার-পাঁচ মিনিট পর আদেশ দিয়া উহাকে পূৰ্ব্বের স্থায় শিথিল করিয়া দিবে। (৫) পাত্রের একখানা পা আস্তে আস্তে উঠাইয়া সরল রেথার স্থায় সোজা করিয়া শূন্তে রাখিবে এবং ঐরুপ করিবার সময় বলিৰ্বে—“তোমার ১২০