পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহিত ব্যক্তির মনে মায়া জন্মান লোহার শলা তোমার কপালে লাগাইব ; উহাতে তোমার কপাল পুড়িয়া যাইবে। লোহাটা আগুনে পুড়িয়া খুব লাল হইয়া গিয়াছে এবং উহা স্পর্শ করা মাত্র তোমার কপাল পুড়িয়া যাইবে—তুমি চীৎকার করিয়া উঠিবে—যন্ত্রণায় ছটফট করিয়া উঠিবে” ইত্যাদি। দুই-তিন বার এইরূপ বলিয়া, একটা পেনসিল বা কলম তাহার কপালে চাপিয়া ধরিবে এবং তৎসঙ্গে “তোমার কপাল পূড়ল—পূড়ল” ইত্যাদি বলিবে। পাত্র কিছুক্ষণের জন্ত কাল্পনিক যন্ত্রনায় অস্থির হইলে, কপাল হইতে উহা অপসারিত করণাস্তর পুনৰ্ব্বার তাহাকে নিদ্রিত করিবে । তৎপরে সম্মোহনবিং আদেশস্থচক স্বরে বলিবে—“এইবার তুমি চোখ খুলিবে, কিন্তু তোমার ঘুম ভাঙ্গিবে না” ইত্যাদি। দুই-তিন বার এরূপ আদেশ করার পর বলিবে—“এইক্ষণ তোমাকে চোখ খুলিতে বলিলে তুমি চোখ খুলিবে এবং আমার হাতে কাল রংএর একখানা কাগজ দেখিতে পাইবে। আমার হাভে যে কাগজ খান রহিয়াছে তাহ কাল-গাঢ় কাল—খুব কাল” ইত্যাদি। দুই-তিনবার এরূপ বলার পর, কাৰ্য্যকারক এক টুকরা সাদা কাগজ লইয়া তাহাকে চোখ মেলিতে বলিবে ; পাত্র চক্ষু না মেলিলে পুনঃ পুনঃ আদেশ দিয়া তাহা করিতে বাধা করিবে। যদি নিদ্রার গাঢ়তা বশতঃ সে উহা খুলিতে অসমর্থ হয়, তবে কাৰ্য্যকারক তাহার চক্ষুর পাতা আস্তে আস্তে টানিয়া তুলিয়া তাহাকে সাহায্য করিবে। সে চোখ মেলিবার পর, তাহার সম্মুখে ঐ সাদা কাগজ খান ধরিয়া বলিবে— “এই দেখ, কাগজ খান কেমন কাল–গাঢ় কাল—খুব কাল” S&6t