পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেস মেরিজম বা জৈব আকর্ষণী বিদ্যা মিশিয়া মানব-শরীরে সেই প্রকার কার্য্য সকল প্রকাশ করে। এজন্তই আমরা “জৈব আকর্ষণী শক্তি"র কথা বলিয়া থাকি।” “এই বাষ্প অতি দ্রুতবেগে এক শরীর হইতে অন্ত শরীরাভ্যস্তরে প্রবেশ করে, দূর হইতে কাৰ্য্য করিতে পারে, আলোকের ন্তায় প্রতিবিম্বিত হয়, এবং শব্দ দ্বারা দৃঢ়ীভূত ও সঞ্চারিত হইয়া থাকে। কিন্তু আবার এমন কতকগুলি জীব বর্তমান আছে, যাহারা এই জৈব আকর্ষণী শক্তির তাবৎ ফল সমূহ নাশের কারণ। ইহাদের শক্তিও স্বভাবরূপ (positive) afts & I"

  • জৈব আকর্ষণী শক্তি দ্বারা আমরা স্নায়বিক রোগ সকলের সত্বর আরোগ্য বিধান করিতে পারি এবং এই অতি সত্বর সংঘটিত স্নায়বিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়া যাবতীয় রোগ আরোগ্য করিতে সমর্থ হই । ইহা বলিলে অভূক্তি হইবেন যে, ভেষজ সমূহের কার্য্যও এই শক্তিই ঘটাইয়া থাকে ও রোগ চরমাবস্থায় আনয়ন করে।”

“চিকিৎসক এই আকর্ষণী শক্তি দ্বারাই অতি জটিল রোগ সমূহের কাৰ্য্য কলাপ জানিতে সমর্থ ছিলেন।” হিপ্লোটিজমের সহিত মেস্মেরিজমের বিভিন্নত সিদ্ধান্ত, অভ্যাস বা কাৰ্য্যপ্রণালী এবং উৎপাদিত অবস্থার কার্য্যকারিত সম্বন্ধে হিপ্লোটিজমের সহিত মেস্মেরিজমের স্বভাবগত বিশেষ পার্থক্য আছে । তাঁহা সংক্ষেপে এই – মেস্মেরিষ্টর মোহিতাবস্থাকে আকর্ষণী শক্তির সন্ত ফল (direct effect) বলিয়া অভিহিত করেন, আর হিপ্লোটিষ্টরা উহাকে কাৰ্য্যকারকের ২০৩