পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা যদি তাহার উপযুক্ত পরিমাণে সংবেদন থাকে, তবে সে নিশ্চয় এই স্তরে উপনীত হইবে, অন্যথায় হইবে না । সুতরাং সকল পাত্র ইহাতে পৌছে না। এই স্তরে উপনীত পাত্রের আত্মিক শক্তি সকল-দিব্যদৃষ্টি, fq=ffs, f5.gl--iża, visst? (intro-vision) fáze (prevision) ইত্যাদি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিকশিত হইয়া থাকে ; এবং পাত্র উহাদের দ্বারা সম্মোহনবিংকে তাহার চর্চা বা অনুসন্ধানে সিদ্ধির উপযোগী পন্থ নির্দেশ করতঃ যথেষ্ট সাহায্য করিতে পারে এবং বিশেষ কোন রোগ চিকিৎসার সময়ও, যে প্রণালীতে কাৰ্য্য করিলে তাহ সত্বর নিরাময় হইবে, সে সম্বন্ধেও মূল্যবান উপদেশ দিয়া সহায়তা করিতে পারে। লক্ষণ ঃ-এই স্তরের লক্ষণ সকল অপেক্ষাকৃত জটিল। তন্মধ্যে প্রধান লক্ষণগুলি এই – (ক) যখন পাত্র মানসিকাবস্থা হইতে বৰ্ত্তমান স্তরে পৌছে, তখন তাহার মাথ। পূর্বের তার হাটুর দিকে ঝুকিয়া না পড়ির শ্বাস-প্রশ্বাসের সহিত উঠা-নামা করিতে থাকে—শ্বাস গ্রহণের সময় উপরের দিকে উঠে, আর শ্বাস ত্যাগের সময় নীচের দিকে ঝুঁকিয়া পড়ে। তখন তাহার মাংসপেশীগুলির কোন বর্তৃত্ব না থাকাতে তাহার মাথা হঠাৎ বুক বা হাটুর উপর পড়িয়াও যাইতে পারে। তাহার শ্বাস-প্রশ্বাস যাহা পূৰ্ব্বে কষ্ট্রের সহিত বহিতেছিল বলিয়া বোধ হইতেছিল, তাহ এখন শান্ত ভাব ধারণ করে । (খ ) পাত্রের শরীর যেন এক রকমের সংকোচন ও প্রসারণের কাৰ্য্য দ্বারা খুব সত্বরতার সহিত সম্পূর্ণ শিথিল ও দৃঢ় হইতে থাকে। উই৷ যত শীঘ্র শিথিল হয়, তত শীঘ্রই আবার দৃঢ় ভাব ধারণ করে।” চক্ষুগোলক ২৩০