পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা কাৰ্য্যকারক এখন তাহাকে ঘরের মেঝেতে বা বিছানার উপর চিৎভাবে শোওয়াইবে । তৎপরে তাহাঁর শরীরের উপর দীর্ঘ পাস দিবে এবং মাঝে মাঝে দক্ষিণ বুদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা তাহার নাসা-মূল চাপিয়া ধরিয়া “ঘুমাও”, “খুব ঘুমাও” ইত্যাদি বলিবে। ইহাতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাহার নিদ্রা খুব গভীর হইবে। পরে পরীক্ষা দ্বারা তাহার নিদ্রার গভীরতা স্থির করিয়া লইবে । যদি এই নিদ্রা পূর্ণ হয়, তবে পাত্র সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞান হইয়া পড়িবে এবং সে কাৰ্য্যকারকের ইচ্ছাশক্তির অধীন হইয়া থাকিবে । কেহ কেহ ইহা জিজ্ঞাসা করিতে পারে যে, সে কতক্ষণ এই অবস্থার থাকিবে ? তদুত্তরে বলা যাইতে পারে, যদি তাঁহাকে এই অবস্থায় ফেলিয়া রাখা যায় এবং কোন তৃতীয় ল্যক্তি কোনরূপে তাহার শান্তি ভঙ্গ না করে, তবে সে দুই হইতে আট ঘণ্টার মধ্যে, অথবা রাত্রিতে সে যতক্ষণ ঘুমায়, ততক্ষণ পরে স্বতঃই জাগ্রত হইয়া উঠিবে। তৃতীয় নিয়ম মিঃ র্যাডেলের প্রণালী ] এক সময়ে একাধিক ব্যক্তিকে মোহ নিদ্রায় নিদ্রিত অর্থাৎ মেসমেরাইজ করিতে এই প্রণালীটি বিশেষ কাৰ্য্যকর হইবে। পাত্রদিগকে এক শ্রেণীতে সারিবদ্ধ ভাবে চেয়ারে বসাইবে এবং সেই চেয়ারগুলির সম্মুখে ও পশ্চাতে এরূপ স্থান রাখিবে, যেন সুবিধাজনকভাবে তাহাদিগকে পাস দেওয়া যায়। প্রত্যেক পাত্র তাহার পার্শ্বন্ধ অপর ব্যক্তির সহিত ইটু দ্বারা স্পশযুক্তভাবে অবস্থান করিবে ; ইহাতে তাহদের আকর্ষণী শক্তি Հ88