পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা তাহার মাথা উঠাইয়া চেয়ারের হেলান দিবার কাষ্ঠ খণ্ডের উপর স্থাপন করিবে এবং ডান হাতের আঙ্গুলগুলি যাহা তাহার মাথার উপর স্থাপিত ছিল, উহাদিগকে অপসারিত করিয়া তাহার মুখমণ্ডলের উপর ক্ষুদ্র পাস দিবে। বলা বাহুল্য যে, তখন উক্ত আকর্ষণী স্পর্শ অপস্থত হইবে । সকল পাত্রের উপরই এই প্রণালী প্রয়োগ করিবে, তবে তাহীদের মধ্যে যাহারা অধিক সংবেদ্য অগ্রে তাহাদিগকেই মনোনীত করতঃ ইহ প্রয়োগ করিবে। যাহাদের কেবল চক্ষু বন্ধ ও ঘুমের ভাব হইবে, তাহাদের উপর আরও কতকগুলি পরীক্ষা করিবার জন্ত তাহাদিগকে রাখিয়া অবশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি হয় উপেক্ষা প্রদর্শন করিবে, অথবা তাহাদিগকে চলিয়া যাইতে বলিবে । তৎপরে যাহারা সংবেস্তু বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে, তাহাদিগকে আরও গভীররূপে নিদ্রিত করিতে প্রয়াস পাইবে । যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত তাহার এক এক করিয়া গভীর নিদ্রীয় অভিভূত না হয়, ততক্ষণ তাহদের উপর দৃঢ় সংকল্পের সহিত তাড়াতাড়ি বা সতেজভাবে পাস দিতে থাকিবে । তৎপরে সম্মোহনবিৎ প্রথম ও দ্বিতীয় নিয়মোক্ত পরীক্ষা পত্রের শরীরের শিথিল বা আলগ। ভাব অথবা চতুঃপার্শ্বস্থ বস্তু, বিষয় বা ঘটনা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অচৈতন্য ভাব দ্বারা উক্ত নিদ্রার গভীরতার পরিমাণ উপলব্ধি করিতে সমর্থ হইবে। চতুর্থ নিয়ম (কাপ্তান জেম্সেএর প্রণালী ) সন্মোহনবিং পাঞ্জকে খুব আরামের সহিত একখান ইজি চেয়ারে বসাইবে বা বিছানায় শোওয়াইবে। এখন সে পাত্রের সম্মুখে দাড়াইয়া ९8७