পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা বিসদৃশ অবস্থা উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতএব কাৰ্য্যকারক নিজের মোহিত পাত্রকে কখনও অপর কোন লোকের দ্বারা স্পর্শিত হইতে দিবে না। মোহ নিদ্র অপসারণ অর্থাৎ পাত্রকে জাগ্ৰত করিবার জন্ত নিম্নে যে কয়েকটি প্রণালী প্রদত্ত হইল, কার্য্যকারক উহাদের সাহায্যে যে কোন স্তরে উপনীত পত্রিকে প্রকৃতিস্থ করিতে সমর্থ হইবে। ( ১ ) মোহিত ব্যক্তির শরীরের উপর কয়েকটি বিপরীত বা উৰ্দ্ধগামী লম্বা কিম্বা উপশম পাস প্রদান করণ স্তর মাথা ও মুখমণ্ডলের উপর ফু বা বাতাস দিলে, সে জাগ্রত ও প্রকৃতিস্থ হইয়া থাকে। (২) মোহিত ব্যক্তির মুখ মণ্ডলের উপর রুমাল বা পাখা দ্বারা তাড়াতাড়ি বাতাস-দিলে, ঐ শীতল বায়ু-প্রবাহ তাহার ফুসফুসের ভিতর প্রবেশ করিয়া রক্ত সঞ্চালনের ক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং তাহাতে তাহার মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ বৰ্দ্ধিত হইয় তাহাকে জাগ্ৰত করিয়া থাকে । পাত্রের কঁধি ব! পিঠের উপর জোরে ( অবশ্যই সে ব্যথা না পায় ) হাত চাপড়াইয়া, "জাগ, জাগ” বলিয়া আদেশ দিলেও সে প্রকৃতিস্থ হইয়া থাকে। এই প্রণালীটি সচরাচর হিপ্লোটিক নিদ্রা অপসারণের জন্তই ব্যবহৃত হয়। ইহাতে পাত্রের ঘুম হঠাৎ ভাঙ্গিয়া যায় বলিয়া তাহার স্বায়ু মণ্ডলীতে অল্প বিস্তর আঘাত লাগে। এই প্রণালীটি খুব নির্দোষ নয় । (৩) মোহিত ব্যক্তির শরীরের উপর পা হইতে আরম্ভ করিয়া মাথা পৰ্য্যস্ত অর্থাৎ উর্দ্ধগামীভাবে জোরের সহিত পাখার বাতাস দিলে তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া থাকে। প্রথম বৈঠকে নিদ্রিত পত্রিকে २१०