পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা বেলা অভ্যাস করিলে ঘরের উত্তর দিকের জানালীর ভিতর দিয়া বিক্ষিপ্ত স্বৰ্য্য-কিরণ প্রবেশ করিতে পারে, এমন ভাবে জানালা খোলা রাখিয়া উহার দিকে পিছন দিয়া, আর রাত্রিতে অভ্যাস করিলে বাতির আলোকের দিকে পিছন দিয়া বসিবে। আহারের দুই ঘণ্ট। পূৰ্ব্বে ব{ পরে অভ্যাসের সময় নির্দিষ্ট রাখিবে ; যেহেতু খুব ভরা বা খালি পেটে ইহা অভ্যাস করা উচিত নহে। কথিত নিয়মে ক্রিষ্টেল বা গ্লাসটি স্থাপন পূৰ্ব্বক চিন্তাশূন্ত ও একাগ্রচিত্তে (ক্রিষ্টেল হইলে ) উহার উপরি ভাগের উপর, আর গ্লাস হইলে, উহার অভ্যন্তরস্থ জলের উপর, স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকাইয়া থাকিবে। তখন চোখের পলক পড়িলেও কোন ক্ষতি নাই। এরূপ শান্তভাবে ১০ হইতে ২০ মিনিট কাল তাকাইয়া থাকিলে, যদি অভ্যাসকারীর আত্মিক সংবেদন থাকে, তবে সে ক্রিষ্টেল বা ঐ কাল জলের উপর প্রথম অস্পষ্ট ধূমের ন্তায় বাষ্প দেখিতে পাইবে এবং উহা তখনই সাদা মেঘের আকার ধারণ করিবে ও উহার মধ্যে ইতস্তত: ভ্রমণশীল বহু সংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক-কণা দৃষ্ট হইবে। তাহার দৃষ্টি তখন পর্য্যন্ত নিদিষ্ট বিন্দুতে স্থির না হওয়া বশতঃ চক্ষুর মণি তাড়াতাড়ি সঙ্কোচিত ও প্রসারিত হইতে থাকিবে, এবং ক্রিষ্টেল বা গ্লাসটা যেন এক একবার আঁধারে অদৃপ্ত হইয়া যাইতেছে বলিয়া বোধ হইবে। প্রথম প্রথম কয়েক বৈঠক পর্য্যন্ত ( কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক বৈঠক পৰ্য্যন্তও) এইরূপ দৃষ্ট হইরা থাকে। ইহা সাফল্যের লক্ষণ। তৎপরে, হঠাৎ একদিন ঐ ভ্ৰাম্যমান আলোক-বিন্দুর সহিত পরদার দ্যায় সাদা মেঘ খান সরিয়া গিয়া, উজ্জল নীলাকাশ-বক্ষে দ্রষ্টব্য বস্তু সকল (visions) প্রতিফলিত হইয়া উঠিবে।

  • నy