পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পাঠ সন্মোহন আদেশ । যখন আমরা কোন বস্তু বা বিষয় সম্বন্ধে কোন-কিছু বিশেষভাবে বা দৃঢ়রূপে কাহারও হৃদয়ে অঙ্কিত করিবার ইচ্ছায় বাক্য প্রয়োগ করি, তখন ঐ সম্পূর্ণ বাক্যটিকে “সন্মোহন ইঙ্গিত” বা “সন্মোহন আদেশ” (hypnotic suggestion) বলে । এই আদেশ যে কেবল বাক্য দ্বারা দিতে হয়, তাহা নহে । অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিশেষ ভাব-ভঙ্গী দ্বারা বা মানসিক চিন্তা দ্বারাও কোন বস্তু বা বিষয় সম্বন্ধে আমরা ভাল-মন্দ যাহা কিছু বলিতে ইচ্ছা করি, তাহীও অল্পাধিক পরিমাণে লোকের মনে অঙ্কিত করিয়া দিতে সমর্থ হই । মানসিক চিস্ত দ্বারা বা মনে মনে যে আদেশ প্রদান করা যায়, উহাকে “মানসিক আদেশ” ( mental suggestion ) বলে । সুতরাং যখনই আমরা এই তিন প্রকারের কোন রকমে অর্থাৎ বাক্য, চিন্তা বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভাব-ভঙ্গী দ্বারা কাহাকেও কোন বস্তু বা বিষয়ের বিশেষ কোন দোষ-গুণ স্বীকার বা বিশ্বাস করাইতে কিম্ব কোন কাৰ্য্য করাইবার জন্য প্রবৃত্তি জন্মাইতে চেষ্টা পাই, তখনই উহাকে “ইঙ্গিত” বা “আদেশ’ বলিয়া অভিহিত করিতে পারা যায়। এই আদেশ সম্মোহন বিজ্ঞানের মেরুদণ্ড । কারণ বিচার শক্তিবিশিষ্ট মানুষকে বশীভূত করিবার জন্ত তাহার উপর ষে সকল প্রক্রিয়া প্রয়োগ করিতে হয়, তন্মধ্যে এই আদেশই সৰ্ব্ব প্রধান। মানুষকে জাগ্রত (স্বাভাবিক ) বা নিদ্রিত অবস্থায় হউক, বশীভূত করিতে তাহাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে আদেশ দিতে হয় । অাদেশের ভাষা সাধারণ কথাবাৰ্ত্তার মত হইলেও উহা একটি নির্দিষ্ট নিয়মে প্রযুক্ত হয় বলিয়া উহার 8>