পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরীরে শিথিলতা উৎপাদন ফেলিয়া দিয়া এরূপ ভাণ করে, যেন তাহার হাত স্বতঃই পড়িয়া গিয়াছে। এরূপ চতুরতা সহজেই ধরা যায়। বাম হাতখানা সম্পূর্ণ শিথিল ও আশ্রয় শূন্ত হইয়া যদি স্বতঃই পড়িয়া যায়, তাছা হইলে উহ। কখনও নির্দিষ্ট সময়ের পূৰ্ব্বে (অর্থাৎ ঐ টুকু উচ্চ হইতে ঐক্কপ ভার বিশিষ্ট কোন নিৰ্জ্জীব পদার্থের পতনে যতটুকু সময়ের আবগুক, তাহার পূর্বে) পড়িতে পারেনা। পক্ষান্তরে ঐ হাত তাহার ইচ্ছার বশবর্তী হইয়া পতিত হইলে, উহা হয় নির্দিষ্ট সময়ের পূৰ্ব্বে, আর না হয় পরে পড়িবে। পাত্রদিগের উপর এই পরীক্ষাটি করিতে চেষ্টা পাইবার পূৰ্ব্বে, শিক্ষার্থী নিজে ইহা সুন্দরূপে শিক্ষা করিয়া লইবে যে, কিরূপে দক্ষিণ তর্জনীর উপর বাম হাতের তালু রাখিয়া উহাকে বলশূন্ত ও শিথিল করিতে হয়। কারণ যাহা সে নিজে জানেনা, তাহ সে অপরের দ্বারা সম্পাদন করাইতে পারিবে না। নিম্নোক্ত উপদেশানুসারে কার্য্য করিলে সে প্রথম বারে না হউক, অন্ততঃ কয়েক বারের চেষ্টায়, হাতে শিথিলত উৎপাদন ক্রিয়টি সুন্দরব্রুপে শিক্ষা করিতে সমর্থ হইবে । সে সরলভাবে দাড়াইবে কিম্বা চেয়ারে বসিবে । তৎপরে পূর্বকথিত নিয়মে, তাহার দক্ষিণ তর্জনীটি উৰ্দ্ধমুখে দাড় করাইয়া, ঐ হাতের অপর অঙ্গুলিগুলি মুষ্টিবদ্ধ করতঃ উহার উপর বাম তালু স্থাপন করিবে এবং বাম কণুইটিকে শরীরের বাম পাশ্বের সঙ্গে লাগাইয়া কোমর পর্যন্ত বুলাইয়া দিবে। এইক্ষণ সে চোখ বুজিয়া মনোযোগের সহিত চিন্তা করিবে যে, তাহার বাম হাতখনি ক্রমেই বলশূন্ত ও অপার হইয়া পড়িতেছে। এক মিনিট এরূপ চিন্তা করার পর, উপস্থিত কোন বন্ধুকে তাহার অজ্ঞাতসারে ডান ¢ማ