পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিষ্ঠা বন্ধ রাখিয়া মনোযোগের সহিত আদিষ্ট বিষয়ের চিন্তা করিবে । বলা বাহুল্য যে, ঐ সময় কাৰ্য্যকারকও নিজের চক্ষু উঠা-নমা করিতে কিম্ব। কাপাইতে পরিবে না। পাত্রের মন যত বেশী একাগ্র হইবে, আদেশ তত দৃঢ়রূপে কায করিবে এবং সম্মোহনবিৎ সাফল্যের জন্ত যত অধিক আগ্ৰহান্বিত হইবে, সে তত শীঘ্র পাত্রকে অভিভূত করিতে সমর্থ হইবে। দৃষ্টি স্থাপন ও আদেশ প্রদানের সঙ্গে এক বা উভয় হাত দ্বারা শরীরের অংশ বিশেষের উপর (যে প্রত্যঙ্গকে অভিভূত করিতে ইচ্ছা করিবে ) মৃদ্ধভাবে হাত বুলাইবে এবং যখন বলিবে “তোমার হাত অত্যন্ত দৃঢ়ৰূপে বন্ধ হইয়া যাইতেছে,” “তোমার চোখ খুব কঠিনরূপে জোড়া লাগিয়৷ গিয়াছে, “তুমি কিছুতেই কথা বলিতে পরিবেন।” ইত্যাদি, তখন শৰা বিশেষের উপর জোর দিয়া কথাগুলি প্রকাশ করিবে এবং তৎসঙ্গে পাত্রের হাত, চোখ, গলা ইত্যাদি জোরের সহিত ( অবশ্য সে ব্যথা না পায় ) মাঝে মাঝে টিপিয়া দিবে। যখন সে হাত খুলিবার জন্ত চেষ্টা করিতে থাকিবে, তখনও মাঝে মাঝে এক একবার “কিছুতেই পারিবেন।” *কখনও পরিবেন,” “প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও পরিবেনা” ইত্যাদি বলিবে । কোন কোন শিক্ষার্থীর নিকট এই পরীক্ষাগুলি কঠিন বলিয়া বোধ হইতে পারে ; কিন্তু বাস্তবিক ঐ সকল প্রক্রিয় কঠিন নহে। সে একবার কাহারও হাত বন্ধ করিতে পারিলেই, তখন আর তাহার পক্ষে *চক্ষু বন্ধ করা, বাক্য বোধ করা ইত্যাদি পরীক্ষাগুলি কিছুমাত্র কঠিন বলিয়া বোধ হইবে না। অনেক শিক্ষার্থ দুই-তিন বারের চেষ্টায় এই পরীক্ষাগুলি করিতে সমর্থ হইয়াছে এবং কিছুদিন পূৰ্ব্বে একটি যুবক عمومي