পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহিতাবস্থা কাহাকে বলে ? পাত্র সম্মোহন নিদ্রায় অভিভূত হইলে, সে বিশ্বস্ত অজ্ঞাবহের স্তায় বিনা আপত্তিতে সন্মোহনবিদের সকল আদেশ পালন করিয়া থাকে। উক্তাবস্থীয় কাৰ্য্যকারক নিজের ইচ্ছামত তাহীর মনে যে কোন প্রকার মায়া ও ভ্রম জন্মাইতে পারে। তখন তাহার সম্মুখে একখানা ইট রাখিয়া যদি এরূপ বলা যায় যে, উহা একটা প্রকাও লোহার সিন্ধুক এবং সে কিছুতেই উহ উঠাইতে পরিবেন, তবে সে তাঁহাই বিশ্বাস করিবে এবং সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াও উহাকে উঠাইতে সমর্থ হইবেন ; কিম্বা যদি তাহাকে এরূপ আদেশ করা যায় যে, সে একজন বক্তা, নৰ্ত্তকী বা মিঠাইফেরিওয়ালা, তবে সে তাঁহাই বিশ্বাস করিয়া উক্ত ব্যক্তি বিশেষের কার্য্য, তাহার অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি ও ক্ষমতানুসারে সম্পাদন করিতে চেষ্টা পাইবে । আবার যদি তাহাকে এরূপ বলা যায় যে, তাহার পাশের চেয়ারে বলিয়া একটা কুকুর ঠিক মানুষের মত গড়গড়ার নলে তামাক টানিতেছে, তবে সে ঐ কল্পিত দৃপ্ত দেখিয়া হাসিয়াই আকুল হইবে ইত্যাদি। উক্তাবস্থায় আদেশের সাহায্যে যেমন তাহার মনে বহু প্রকার মায়া ও ভ্রম উৎপাদন করা যায়, ঠিক সেইরূপে তাহার শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক রোগ সমূহ আরোগ্য এবং মন্দ অভ্যাস সকল বিদূরিত এবং মনের সংবৃত্তি নিচয়কে বৰ্দ্ধিত করতঃ তাহার নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির যথেষ্ট সাহায্য করা যায়। এতদ্ব্যতীত তাহীর দ্বারা সম্মোহনবিদের অভীপিত বহু কাৰ্য্য সাধিত হইতে পারে। মোহিত ব্যক্তি কাৰ্য্যকারকের আদেশানুসারে সমস্ত কাৰ্য্য সম্পাদন করে, এবং সে নিদ্রিত বলিয়াও কোন আদেশ পালন করিতে তাহার কোন অসুবিধা হয় না। কারণ কোন কাৰ্য্য করিতে যে সকল জ্ঞান ও 総>