পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা যায় না। চিকিৎসকগণ উহাকে এক প্রকার রোগ বলিয়া নির্দেশ করেন । এই রোগাক্রান্ত ব্যক্তিগণ যেমন অজ্ঞাতসারে ঘুমন্তাবস্থায় শয্যা পরিত্যাগ করিয়া জাগ্ৰত মানুষের স্তায় নানা প্রকার কার্য্য করে, মোহিত ব্যক্তিও সন্মোহনবিৎ কর্তৃক আদিষ্ট হইয়া তাহার আদেশ সকল পালন করিয়া থাকে ; সুতরাং উভয় অবস্থাই তুল্যরূপ। এতদুভয়ের মধ্যে প্রভেদ এই যে, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিগণের উহা স্বতঃ, আর মোহিত ব্যক্তির উহা সম্মোহনবিং কর্তৃক উৎপাদিত হইয়া থাকে। অতএব প্রথমোক্ত অবস্থাকে “স্বাভাবিক" আর দ্বিতীয় অবস্থাকে কৃত্রিম’ বলা যাইতে পারে। স্বাভাবিক নিদ্রার সহিত সন্মোহন নিদ্রার প্রকৃতি গত কোন পার্থক্য নাই । স্বাভাবিক নিদ্রায় যে সকল শারীরিক লক্ষণ (physiological symptoms) প্রকাশ পায়, সন্মোহন নিদ্রাতেও পাত্রের শরীরে সেই সকল লক্ষণই দৃষ্ট হইয়া থাকে। এখন এই স্থানে ইহা প্রশ্ন হইতে পারে যে, যদি স্বাভাবিক নিদ্রার সহিত সম্মোহন নিদ্রার স্বভাব গত কোন পার্থক্য না থাকে, তবে সম্মোহনবিৎ কোন আদেশ করিলে যেমন মোহিত ব্যক্তি তাহ পালন করে, স্বাভাবিক নিদ্রায় নিদ্রিত ব্যক্তিকে কেহ আদেশ করিলে সে তদ্রুপ তাহার আদেশ পালন করে না কেন ? উহার কারণ এই যে, স্বাভাবিক নিদ্রা হইবার সময় মন কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতি সংলগ্ন থাকে না বলিয়া, উহা নিদ্রার সময়ও কাহার কোন আহবান বা আদেশের সাড়া দেয় না । আর মোহিত ব্যক্তির মন সম্মোহন নিদ্রার সময়, কাৰ্য্যকারকের প্রতি বিশেষরূপে আকৃষ্ট থাকে বলিয়া, উহ। তাহার প্রত্যেক আদেশ পালন করিবার জন্য সৰ্ব্বদা প্রস্তুত থাকে। এই নিমিত্ত পাত্র নিদ্রিত অবস্থাতেও কার্য্যকারকের আদেশ পালন করে। নিদ্রিত &8