পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন। 9 صو রাণীর গাড়ীর পশ্চাতে লেডি হারডিঞ্জ এবং রাজপরিবারভুক্ত মহিলাগণ চারিটি ল্যাণ্ডো গাড়ীতে যাইতেছিলেন । সম্রাটের আগমন এই সময় সেই বৃহৎ জনতাকে এতাদৃশ বিচলিত করিয়াছিল, যে সমগ্ৰ দিল্লী একটি সঞ্চরমাণ মধুকরের চক্রের ন্যায় প্রতীয়মান হইল। শোভাযাত্রার এইখানেই শেষ নহে। এ পৰ্য্যন্ত সম্রাট স্বীয় শাসনকর্তৃগণ ও অন্যান্য কৰ্ম্মচারী সহ যাইতেছিলেন। এখন · ইহাদের পশ্চাতে ভারতীয় করদনৃপতিগণ গমন করিতে লাগিলেন। বৈচিত্র্য ও ঔজ্জ্বল্যে শোভাযাত্রার এই অংশ অতীব কৌতুহলোদ্দীপক হইয়াছিল। রাজন্যবর্গের কেহ বা আধুনিক কালের শ্রেষ্ঠ যানে আরূঢ় ছিলেন, কেহবা পুরাকালের অদ্ভুত যানারূঢ় হইয়া চলিতেছিলেন, কোন রাজ্যযানের পুরোভাগে দর্শকদিগকে সতর্ক করিবার জন্য ঢাক বাজিতে ছিল, কোন যান বা উষ্ট্রবাহিত ছিল ; বৰ্ত্তমান বৈজ্ঞানিক যুগের সকল প্রকার যানের সহিত মধ্যযুগের বিচিত্ৰ শকটাদির অদ্ভুত মিশ্রণ হইয়াছিল। টুডির রাজগণের ও সম্রাটু ‘জনের সময় ব্যবহৃত যানগুলি কিরূপ ছিল, এই দৃশ্যে সকলেই তাহা প্ৰত্যক্ষ করিয়াছিল। এই দলের ভিতর ১৯৬টি গাড়ী এবং প্রায় দশহাজার ব্যক্তি ছিলেন। ১৬১ জন করদরাজা ইহাতে ছিলেন। টঙ্কের নবাব শারীরিক অসুস্থতানিবন্ধন উপস্থিত হইতে পারেন নাই। এই কারণে উদয়পুরের মহারাণাও সালিমগড় হইতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের অনুমতি লইয়াছিলেন। প্রথমেই হাইদ্রাবাদের নিজাম পরিদৃষ্ট হইলেন । পিতার মৃত্যুর পরে তিনি মাত্র তিনমাস যাবত গাদিতে বসিয়াছেন । চতুরাশ্ববাহিত ল্যাণ্ডে গাড়ীর মধ্যে নিজামবাহাদুর, রেসিডেণ্ট লেফটেন্যাণ্ট কৰ্ণেল মিঃ পিনাহি এবং নিজামসৈন্যের সেনাপতি নবাব স্যার আফসার-উদ্দৌলাকে লইয়া বসিয়াছিলেন। ইংরেজ অশ্বচালক এবং সহিসগণ পীতবসন পরিহিত ছিল। প্ৰধান প্ৰধান সামন্তগণ অন্য তিন গাড়ীতে চড়িয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিয়াছিলেন। নিজামবাহাদুরের শরীররক্ষকগণ এবং হাইদ্রাবাদ ইম্পিরিয়াল সারভিসের বর্শাধারী সৈন্যগণের পোষাক কৃষ্ণ-নীল এবং ধূসরবর্ণের ছিল। এই দল গুরুগম্ভীরভাবে সর্বাগ্রে চলিয়া গেলেন । অতঃপর বরদার অশ্বারোহী সৈন্যদল মহারাষ্ট্ৰীয় প্রাচীন রীতিতে নিৰ্ম্মিত সোণা ও রূপার আসার্সেটি এবং অন্যান্য রাজচিহ্নসহ দৃষ্টিগোচর হইল। C 1