পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন । تھا چ অভিবাদন পূর্বক ভারতীয় প্রজাবর্গের পক্ষ হইতে অভিনন্দন পত্ৰ পাঠ করিলেন । “আমরা ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্যগণ গভীর সম্মান প্রদর্শন পূর্বক ভারতীয় প্রজাবগের পক্ষ হইতে আপনাকে আন্তরিক স্বাগত সম্ভাষণ করিতেছি। সমস্ত ভারতের অধীশ্বরীরূপে সমাগত বলিয়া আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। এই পুরাতন ঐতিহাসিক নগরীতে অনেক রাজা ও সমাটুি রাজ্যশাসন করিয়া গিয়াছেন। অদ্যপি তাহদের অনেক কীৰ্ত্তিচিহ্ন বিদ্যমান রহিয়াছে। ইহঁাদিগের কেহই কিন্তু আমাদের মহামহিম বৰ্ত্তমান সম্রাটের তুল্য সমগ্রভারতে একাধিপত্য বিস্তার করেন নাই, সুতরাং আপনার আগমন চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে । রাজভক্তি ভারতের ধৰ্ম্মগত ও আদরের বস্তু। আপনার সমগ্ৰ সাম্রাজ্যের ভিতর রাজভক্তিতে ভারতবাসীদিগের সহিত কাহারও তুলনা হয় না। ভারত সম্রাজ্য বহুভাষাভাষী, বহু জাতি ও বহু ধৰ্ম্মীর বাসভূমি। হিমালয়ের উত্তঙ্গ গিরিশৃঙ্গ হইতে সেতুবন্ধ রামেশ্বর পর্য্যন্ত, সুদূর চীন ও শ্যামের প্রান্ত পৰ্য্যন্ত সমগ্ৰ ভূভাগের অধিবাসিগণ অদ্য রাজভক্তি প্ৰদৰ্শনার্থ এই মহানগরীতে একত্র হইয়াছে । এই স্বল্প প্রবাসেও আপনি দেশব্যাপী এই ভক্তি ও সম্রামের ভাব লক্ষণ করিবেন। এই উপলক্ষে সাম্রাজ্ঞীও আপনার সহিত ভারতে পদাৰ্পণ করিয়া তাহার দাম্পত্য ও বাৎসল্য ভাবের যে আদর্শ আমাদিগকে দেখাইলেন, তাহাতে আমরা বিশেষরূপে কৃতাৰ্থ হইয়াছি। আমরা ভগবানের নিকট আপনাদের মঙ্গল কামনা করিতেছি । তিনি যেন আপনার সুশাসনের ফলে ভারতকে ক্রমশঃ উন্নতি, সুখ ও শান্তির দিকে প্ৰবৰ্ত্তিত করেন । আমরা আশা করি যে ভারতের মঙ্গলকামনা আপনার হৃদয় মন্দিরে সর্বদা বিরাজ করে ।” অভিনন্দন পত্ৰখানি কলিকাতা আর্টস্কুল কর্তৃক কারুকাৰ্য্য খচিত হইয়াছিল। ইহাতে ৭২ জন সভ্যোর ভিতর ৬৯ জনের দস্তখত ছিল, কারণ অত্যন্ত গুরুতর কারণে তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন । মিঃ জেনকিন্স অভিনন্দন পত্ৰখানি পাঠান্তে রৌপ্যাধর বদ্ধ করিয়া সম্রাটের ইকুয়েরীর হস্তে প্ৰদান করিলেন। উক্ত রৌপ্যাধারে নিম্নলিখিত কথাকয়টি খোদিত ছিল। “১৯১১ সনের ৭ই ডিসেম্বর দিল্লী প্রবেশ উপলক্ষে সম্রাটু-দম্পতীকে অভিনন্দন পত্র ।