পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন - ܗܶ সেনানায়কগণ র্তাহার নিজের আবাসের চতুর্দিকে যথাসম্ভব ঘনিষ্ঠভাবে বাস করিবেন । তিনি অন্যান্যের ন্যায় নিজেও বস্ত্রাবাসে থাকিবার সংকল্প করিয়াছিলেন । বস্ত্রাবাসসমূহের উপযোগী বৃহৎ স্থান মনোনয়ন করিবার জন্য রাজপুরুষগণ ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। দরবারকমিটি এবং স্বয়ং বড়লাট যমুনানদীর দুইতীরে অনুসন্ধানের ত্রুটি করিলেন না। অবশেষে লর্ড লিটন এবং লর্ড কাৰ্জন একদা যে স্থানটি মনোনীত করিয়াছিলেন, সেই স্থানটির মত অন্য কোন স্থানই সম্রাটের বাসের পক্ষে উপযোগী বোধ হইল না । “রিজে’র নিম্নে সারকুইট-হাউস সংলগ্ন এই ভূমিখণ্ড সম্রাটের অপরিচিত নহে, কারণ যুবরাজরূপে তিনি এই স্থানে আসিয়া কিয়ৎকাল বাস করিয়াছিলেন। যাহাহউক, এই স্থানটিকেও সম্রাটের বাসযোগ্য করিবার পক্ষে বিলক্ষণ বাধাবিঘ্ন ছিল বলিতে হইবে। প্রথমতঃ এই বৃহৎ ভূমির শ্রেষ্ঠ অংশে সম্প্রতি একটি অশ্বারোহী সৈন্যের নিবাস নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, দ্বিতীয়তঃ অবশিষ্টাংশের অনেকটা স্থান জুড়িয়া জঙ্গল ও জলাভূমি ছিল, তাহা পূর্বে কোন কাজেই লাগে নাই। যমুনার বাৎসরিক প্লাবনে এই অংশ অনেকটা ডুবিয়া যাইত। কাৰ্যনিৰ্বাহক সভা সত্যই বড় বিপদে পড়িলেন। যে সময়ে কমিটি গঠিত হইয়াছিল, সেই সময়কার অবস্থা বড় শোচনীয়। সভ্যগণ দেখিলেন সেই স্থানটির অনেকাংশ জলে ডুবিয়া গিয়াছে। কোন কোন স্থানে শস্য বেশ বড় হইয়াছিল, আবার কতকাংশ ইষ্টকগঠনের জন্য ব্যবহৃত হইয়াছিল। এইসমস্ত স্থান অধিকার করিতে হইবে, কৃষকগণের ক্ষতিপূরণ করিতে হইবে এবং জলনিঃসরণের ব্যবস্থা করিতে হুইবে ; এই সমস্ত কাৰ্য্য একেবারেই সহজ ছিল না। সুখের বিষয় কমিটির কাৰ্য্যতৎপরতায় যে সুফল ফলিয়াছিল তাহা অনেকেই অবগত আছেন। অল্প কয়েক মাসের ভিতরে যেন যাদুমন্ত্রে সমস্ত পরিবৰ্ত্তিত হইল। পুরাতন রাস্ত নুতন করা হইল এবং অনেকগুলি নুতন রাস্তাও নিৰ্ম্মাণ করা হইল। শিবিরসমূহের স্থান চিহ্নিত করিয়া, বাগানে গাছ লাগাইয়া, জলনিঃসরণের বন্দোবস্ত করিয়া এবং যমুনার তীর বঁাধাইয়া কমিটি দিল্লীকে সম্পূর্ণ পরিবৰ্ত্তিত করিয়া ফেলিলেন। সম্রাটের শিবির কেন্দ্ৰ করিয়া অন্যান্য শিবির তাহার চতুর্দিকে নিৰ্ম্মিত হুইবে, ইহাই ব্যবস্থা। প্ৰথমে প্ৰাদেশিক শাসনকৰ্ত্তাগণ, প্ৰতিনিধিগণ এবং YFt KS