পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sச डांब्रड-*ब्रिन्थन । অতঃপরই মান্দ্ৰাজ শিবির। বোম্বাই এবং মান্দ্ৰাজ শিবিরের মধ্যে নজফগড় খাল। লণ্ডন হইতে সেণ্টপিটারসবার্গ যতদূর মান্দ্ৰাজ হইতে দিল্লী প্ৰায় ততদূর। নিমন্ত্রিত ভদ্ৰ মহোদয়গণ রেলে ৪ দিনের পথ অতিক্ৰম করিয়া আসিয়াছিলেন । এই শিবিরের নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ৮০ জনের উপরে। শিবিরটির সম্মুখভাগস্থ সুন্দর প্রাঙ্গণ ও বিচিত্র সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া কে বলিতে পারিত যে কয়েকমাস পূর্বে ইহা একটি শস্যক্ষেত্র ছিল। মান্দ্ৰাজ শিবিরের সম্মুখেই ব্ৰহ্ম-শিবির। নানাকারণে ইহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। দিল্লীতে শাসকবৃন্দের যতগুলি বস্ত্ৰাবাস ছিল, তন্মধ্যে এইটির মত দেশীয়ভাবের অভিব্যক্তি আর কোনটিও দেখাইতে পারে নাই । অন্যান্য চিহ্নের মধ্যে স্ফটিকনিৰ্ম্মিত ময়ুর-চন্দ্ৰাতপ (ব্ৰহ্মের পুরাতন রাজ-চিহ্ন ) বিশেষ কৌতুকাবহী, রাত্রিকালে তড়িতালোকে ইহার পুচ্ছের বিচিত্র বর্ণ উজ্জ্বল হইয়া উঠিত। প্ৰধান দ্বারের উপরিভাগের অদ্ভুত জীবমূৰ্ত্তিগুলি কৌতুকাবহ ছিল। ইহার রেঙ্গুন ‘সোয়েড্যাগন প্যাগোডার’ অনুকরণে গঠিত হইয়াছিল। ইহাদের এক চক্ষু সবুজ এবং এক চক্ষু লাল, «ኮ..ኾሣ ! তড়িতালোকে এই দুই চক্ষুর অপূর্ব দীপ্তি পথ দেখাইয়া দিত। ভারতীয় দর্শকগণ অবিরত এই প্ৰতিমূৰ্ত্তিগুলি দেখিয়া আনন্দপ্ৰকাশ করিত। তাহারা ব্ৰহ্মশিবিরের এই জন্তুগুলির চক্ষু দেখিয়া ইহার নাম দিয়াছেন ‘বিল্লি-শিবির। ইহার পরে ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসামের শিবির। রক্তবর্ণ ঝালর সমন্বিত প্ৰধান প্ৰধান সমুচ্চ তাঁবুগুলি যেমন গৌরবময়, তেমনই সৌন্দৰ্য্য পূর্ণ ছিল। শুভ্ৰবর্ণের নিরবচ্ছিন্ন পংক্তি ভেদ করিয়া এখানে আসিয়া দর্শকগণ সহসা রক্তিমাভা দেখিয়া কুতুহলী হইতেন। শিবির নিৰ্ম্মাণে লেফটেন্যান্ট কৰ্ণেল এইচ ডবলিউ জি কোল বিশেষ যোগ্যতা দেখাইয়াছেন। এই শিবিরের অভ্যন্তরভাগও সৌন্দর্ঘ্যে অপরাপর শিবিরের অনুকরণযোগ্য ছিল। শিবিরের মধ্যভাগের কৃত্ৰিম সরোবর ও তাহার চতুর্দিকের তাবুসমূহ বড়ই চিত্তাকর্ষক হইয়াছিল। অতঃপর আগ্রা ও অযোধ্যা এই দুই যুক্তপ্রদেশের বস্ত্রাবাস; এই শিবিরের বেশবিন্যাসের ঘটা আদৌ ছিল না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইহাতে ৮০ জনের উপরে নিমন্বিত ব্যক্তি ছিলেন ।--তৎপরে বঙ্গদেশীয় aert