পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ. Ν. ভারত-পরিদর্শন । বৰ্ত্তমান শিখরাজ্যসমূহের মধ্যে কাশ্মীর উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য শিখরাজ্যসমূহের মধ্যে পাতিয়ালা, নাভা, বিন্দ, ফরিদকোট এবং কাপুরথালার নাম করা যাইতে পারে। পঞ্জাবে পাতিয়ালাই সর্বাপেক্ষা বৃহৎ শিখরাজ্য। মহারাজ পৃষ্ঠার ভূপেন্দ্ৰ সিংহ মহিন্দর বাহাদুর ১৯০৩ সনে দিল্লীতে গিয়াছিলেন। নাভারাজ স্যার হীরা সিংহকে দরবার-উপলক্ষে বংশগত “মহারাজ” উপাধিতে ভূষিত করা হয়। কাশ্মীর একটি প্রধান শিখ-কেন্দ্ৰ। ১৮৪৬ খৃঃ অঃ পাঞ্জাবের পতনের পরে গোলাবসিংহ ইংরেজদিগের সঙ্গে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইয়া কাশ্মীরের রাজপদে অধিষ্ঠিত হন। বৰ্ত্তমান মহারাজ মেজর জেনারল স্যার প্রতাপসিংহ বাহাদুর ১৯০৩ সনেও লর্ডকার্জনের দরবারে দিল্লীতে আসিয়াছিলেন । কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য অনুপম। প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য সম্পন্ন এবং সীমান্ত রাজ্য বলিয়া কাশ্মীর সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে। এই রাজ্যের সৈন্যবগ সম্রাটের পক্ষে একাধিক সংগ্রামে লিপ্ত ছিল । মহীশূর দক্ষিণভারতের একটি সুবৃহৎ রাজ্য। বৰ্ত্তমান রাজবংশ চতুৰ্দশ শতাব্দী হইতে মহীশূরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আছেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মহীশূর। হায়দার আলী নামক একজন সেনানায়ক। তৎসময়ের রাজাকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া স্বয়ং সেই স্থানে অধিষ্ঠিত হন। ১৭৯৯ খৃঃ অঃ হায়দারের পুত্ৰ টিপু সুলতানকে পরাজিত করিয়া লর্ড ওয়েলেসলি হিন্দুরাজবংশের পুনঃ প্ৰতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ১৮৩১ খৃঃ অঃ নানাকারণে ভারতগাবৰ্ণমেণ্ট রাজ্যশাসনের ভার স্বহস্তে গ্ৰহণ করেন। ১৮৮১ খৃঃ অঃ রাজ্যটি পুরাতন রাজবংশের হস্তে পুনরায় অপিত হয়। বৰ্ত্তমান মহারাজ স্তার কৃষ্ণরাজা বাদিয়ার বাহাদুর ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে গদীতে বসিয়া সুখ্যাতির সহিত রাজ্যশাসন করিতেছেন। আয়তনে মহীশূর ব্যাভেরিয়ার সমান হইবে। এই রাজ্য স্বর্ণ, কাফি, চন্দন কাষ্ঠ প্ৰভৃতির ভাণ্ডারস্বরূপ। মহীশূরের জঙ্গলে হস্তী পাওয়া যায়। বৰ্ত্তমান সম্রাট যুবরাজরূপে এই দেশে আসিলে মহীশূর জঙ্গলে “খেদা” (হাতী ধারা) দেখিতে গিয়াছিলেন। এই রাজ্যের বর্তমান শাসনপদ্ধতি আধুনিক সভ্যজগতের অনুমোদিত। রাজ্যটিতে প্ৰতিনিধি-সভা আছে। দক্ষিণ ভারতের অপরাপর উল্লেখযোগ্য রাজ্যের মধ্যে পদ্মকোট এবং রঙ্গনপল্লী উল্লেখযোগ্য ।