পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGV ভারত-পরিদর্শন । করিলেন। ক্যাপটেনের অধস্তন কৰ্ম্মচারীরা তঁহাদের কৰ্ম্মকালের দীর্ঘতা অনুক্রমে সম্রাটের হস্ত হইতে সেই পতাকা সসম্মানে জানু পাতিয়া বসিয়া গ্ৰহণ করিলেন। পতাকা প্ৰদান কাৰ্য্য শেষ হইলে পূর্বোল্লিখিত বাহিনীসমুহের কর্ণেলগণ অগ্রসর হইয়া একে একে সম্রাটুদত্ত অভিনন্দন পত্ৰ প্ৰাপ্ত হইলেন। প্ৰত্যেক অভিনন্দন পত্রেই নিম্নলিখিত কথাকয়টি विथिऊ शिव्ल - “এই সৈন্যদলকে নবপতাকা দ্বারা সম্মান করিতে পারিয়া আমরা আনন্দিত হইলাম। মনে রাখিও, এই ব্যাপারটি তোমাদের জীবনে সামান্য ঘটনা নহে। যে পুরাতন পতাকায় তোমাদের পুরাতন বীরত্ব কাহিনী অঙ্কিত আছে, নূতন পতাকা লইয়া আজ তাহা ত্যাগ করিতেছ। এখন হইতে যত বীরত্ব কীৰ্ত্তি অর্জন করিবে তাহা নবপতাকাতেই চিহ্নিত থাকিবে । পুরাতন গৌরবের কাহিনী স্মরণ করিয়া ভবিষ্যতের জন্য আশান্বিত হও । এই পতাকা কোন যুদ্ধে ব্যবহৃত না হইলেও ইহা সামান্য মনে করিও না । ইহা চিরদিনই তোমাদের চক্ষে উৎসাহ প্ৰদ, পবিত্র এবং কৰ্ত্তব্যের চিহ্ন স্বরূপ। ভগবান, রাজা এবং মাতৃভূমি এই তিনটির চিহ্নই ইহা সূচিত করে। সুতরাং ইহার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া এবং ইহাকে সম্মান করিয়া ভবিষ্যদ্বংশীয়ের হস্তে অকলঙ্কিত ভাবে সমর্পণ করিবে।” । প্ৰত্যেক অভিনন্দন পত্রের শেষভাগে প্ৰত্যেক সৈন্যদলের বিশেষত্বব্যঞ্জক বীরত্বকাহিনী বর্ণিত ছিল। সম্রাটু নদামবারল্যাণ্ড ফুসিলিয়ারদিগকে নিম্নলিখিত কথাকয়টি বলিয়া ছিলেন :- , “১৭৭৮ খৃঃ অব্দে সেণ্ট লুসিয়াতে যুদ্ধের সময় তোমাদের দল একশত বৎসরের অধিক কালব্যাপী গৌরবমণ্ডিত ছিল। সে সময়ে তোমরা গোলাবারুদ ফুরাইয়া যাওয়া সত্ত্বেও কেবল “বায়োনেট” দিয়া যুদ্ধ করিয়া জয়লাভ করিয়াছিলে। ভবিষ্যতেও তোমাদের পূর্বগৌরব অক্ষুন্ন রাখিয়া নূতন পতাকার সম্মান বজায় রাখিতে চেষ্টা করিও ।” সম্রাটু ডারহাম পদাতিক দলকে বলিয়াছিলেন :- “তোমরা শতবর্ষ পূর্ব হইতেই বীরত্ব প্রদর্শন করিয়া আসিতেছ। স্যালামানকা, ইনকারম্যান এবং ভাল ক্র্যােণ্টজ প্রভৃতি স্থানে প্ৰদৰ্শিত তোমাদের অদ্ভুত বীরত্ব এখনও সকলের স্মৃতিপথে সমুজ্জ্বল। সর্বদা মনে