পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদশর্ণন । SS শুভাগমনেই প্ৰমাণিত হইতেছে। কিন্তু ইহাই একমাত্ৰ প্ৰমাণ নহে, বহুকাৰ্য্যে আপনার সেই হিতাকাঙক্ষণ ভারতবাসীরা হৃদয়ঙ্গম করিয়াছে। অবরোধে নিবদ্ধ থাকিয়া ভারতীয় রমণীগণ বহির্জগতের কোন সংবাদ রাখেন না, ইহাই অনেকের ধারণা। একথা সম্পূর্ণ সত্য নহে। আধুনিক সময়ে ইংরেজশাসনের সুফল স্বরূপ অন্তঃপুরচারিণী রমণীগণ বিবিধরাপ সদগুণবিকাশের সুযোগ প্ৰাপ্ত হইয়াছেন। ব্রিটিশশাসনে বহুকাল যাবৎ অক্ষুন্ন শান্তি ভোগ করিয়া আমরা সম্মান এবং ন্যায্য অধিকার লাভ করিয়াছি। ন্যায়ানুমােদিত সুবিচার এবং প্রজার মঙ্গলোচ্ছাই যে প্রত্যেক রাজ্যের ভিত্তিস্বরূপ তাহ প্রাচীন কালের ন্যায় এখনও সর্বত্র প্রমাণিত। সমাজ্ঞী এবং সমাটের দরবারোপলক্ষে আমরা সমবেত হইয়া আনন্দ প্ৰকাশ করিতেছি। ভগবানের নিকট প্রার্থনা করি সাম্রাজ্য সুদৃঢ়তর হইয়া भांनद डांडिश भचव जांक्षन्। कद्धक ।” অভিনন্দনপাঠের পর পাতিয়ালার মহারাণী ব্রিটিশভারতের যোষিৎকুলের পক্ষ হইছে হীরক খচিত ইতিহাসবিশ্রুত একটি বৃহৎ চতুষ্কোণ রক্তমাণিক্য এবং একটি হীরার ফুল খচিত রক্তমাণিক্যের ঝালর সংযুক্ত সুন্দর হার সাম্রাজ্ঞীকে উপহার প্রদান করিলেন । এই উপহার গ্ৰহণ করিয়া সাম্রাজ্ঞী বলিলেন, ঃ- “আপনারা আপনাদিগের ভারতীয় ভগিনীগণের পক্ষ হইতে যে সুন্দর কথা কয়েকটি বলিলেন তাহা আমার মৰ্ম্ম স্পর্শ করিয়াছে। আমি সর্বদাই আপনাদের মঙ্গলকামনা করিতেছি । ভারতীয় রমণীবৃন্দের ভক্তি, আত্মত্যাগ প্ৰভৃতি মহৎগুণরাশির কথা ইতিহাসের প্রতি পৃষ্ঠায় স্বর্ণীক্ষরে লিখিত আছে। ভারতের মাতাগণ তঁহাদের সন্তানদিগকে চিরদিনই সেই সমুদায় শিক্ষা দিয়া আসিয়াছেন। এতদেশীয় মহিলাগণ অবরোধে থাকিয়া নবশাসনের ফলে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতরূপে যে উন্নতি ও পরিবর্তন অনুভব করিতেছেন—তাহা অতীব আহিলাদের বিষয় । আমি আশা করি আপনাদিগের কন্যাগণকে আপনার যথাযোগ্য শিক্ষা প্ৰদান করিবেন। তাহার ফলেই তাহারা কালক্রমে উপযুক্ত পত্নী হইতে পারিবে । আপনারা যে মহামূল্য রত্ন আমাকে উপহার দিয়াছেন তাহ যখনই পরিধান করিব, তখনই সুদূর ইংলণ্ডে বসিয়াও আপনাদিগের ও আপনাদের শ্ৰীতির কথা স্মরণ করিব। উহা ভবিষ্যৎবংশীয়ের উত্তরাধিকারস্বত্বে লাভ