পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেপাল ও রাজপুতানা নেপাল নেপাল খৰ্বাকৃতি দুৰ্দ্ধৰ্ষ গুর্থাজাতির মাতৃভূমি। ভারতবর্ষ এবং চীন এই দুই বিশাল সাম্রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত বলিয়া নেপাল সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া আসিতেছে। এই রাজ্যের সহিত ভারতগবৰ্ণমেণ্টের কেবল মাত্র একবার যুদ্ধ (১৮১৪ খৃঃ) ঘটিয়াছিল। তখন লর্ড হার্ডিঞ্জ এদেশের বড়লাট ছিলেন। তিনি সীমান্তের গোলযোগের জন্য ১৮১৪ খৃস্টাব্দে এক অভিযান প্রেরণ করেন। ইহার নেতারূপে সেনাপতি অক্টরলোনি রণকুশল গুর্থাদিগকে পরাজিত করিলে উভয় রাজ্যে সন্ধি স্থাপিত হয়। কলিকাতার সমুচ্চ মনুমেণ্ট অক্টরলোনির স্মৃতি জাগ্রত রাখিয়াছে। যাহা হউক সেই সন্ধির ফলে উভয় রাজ্য এরূপ বন্ধুত্বসূত্রে আবদ্ধ হইয়াছে যে তদবধি গুর্থ সৈন্যগণ ভারতসাম্রাজের যুদ্ধ-বিগ্রহে সর্বদাই সহায় হইয়াছে। সম্রাটু যখন যুবরাজরূপে ভারতে আসিয়াছিলেন, তখন তঁহার একবার নেপাল ভ্ৰমণের ইচ্ছা ছিল । দীর্ঘ পৰ্যটন-শ্রম অপনোদনের জন্য টেরাই প্রদেশের সুন্দর বন্যভূমিতে কতকদিন শিকার "" করিয়া বেড়াইবেন—এই সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু শিকার-শিবিরের নিকটবৰ্ত্তী স্থানসমূহে ভীষণ বিসূচিকা রোগের আবির্ভাব হওয়ায় যুবরাজের সেবারে আর নেপাল যাওয়া হয় নাই। এই ঘটনায় নেপালে অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ হইয়াছিল। ১৯০৮ সনে নেপালের প্রধান সচিব এবং প্রকৃত শাসনকৰ্ত্ত মহারাজ স্যর চন্দ্ৰ সামসের জঙ্গ বাহাদুর বিলাতে গিয়াছিলেন। তিনি সম্রাটু এডোয়ার্ডের সম্মানিত অতিথিস্বরূপ কতকদিন ইংলণ্ডে বাস করিয়াছিলেন। সম্রাটু জর্জের ভারতগমনের শুভসংবাদ পাইয়াই তিনি বড়লাটবাহাদুরকে অনুরোধ করিয়া পাঠান যেন সমাট এই উপলক্ষে শিকারার্থ একবার নেপালে পদার্পণ করেন। সম্রাট এই প্ৰস্তাব শুনিয়া সানন্দে স্বীয় অনুকুল অভিপ্ৰায় জ্ঞাপন করেন। ভারতসম্রাটের যথোচিত সম্বৰ্দ্ধনার জন্য বিরাটু আয়োজন হইতে নেপালে ব্রিটিশ অভিযান।