পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতানা ইতিপূর্বেই বলা হইয়াছে যে সম্রাট, নেপাল যাত্রা করিলে সম্রাজ্ঞী আগ্রা এবং রাজপুতানা পরিদর্শনে বহির্গত হইলেন । ১৬ই ডিসেম্বর সন্ধ্যাকালে তিনি আগ্ৰা পৌছিয়াছিলেন। রেলষ্টেশনে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি সম্রাজ্ঞী অভ্যর্থনাথ দণ্ডায়মান ছিলেন । আগ্রার কমিশনার মিঃ রেনল্ডস মহােদয় সম্রাজ্ঞীকে লইয়া “সারকুইট’ গৃহে উপস্থিত হইলেন। সাম্রাজ্ঞীর সম্মানার্থ পূর্ব হইতেই রেলষ্টেশনে ১৩নং রাজপুত এবং “সারকুইট’ গৃহে আইরিশ-বাহিনী সম্মানিত প্রহরীস্বরূপ প্ৰস্তুত ছিল। “সারকুইট’ গৃহটি সম্রাজ্ঞীর নিকট অপরিচিত নহে, কারণ যুবরাজপত্নীরূপে ১৯০৫ সনে এই হৰ্ম্মতলে তিনি যুবরাজের সহিত বাস করিয়াছিলেন, সম্রাজ্ঞীর সঙ্গিনীগণ নিকটবৰ্ত্তী তাঁবুতে আশ্রয়গ্ৰহণ করিলেন। সম্রাজ্ঞী চিরদিনই ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতত্ত্বনিষয়ক নির্শনসমূহের একান্ত অনুরাগিণী, এজন্য অনতিবিলম্বে সুবিখ্যাত তাজমহল পরিদর্শন করিবার উদ্যোগ করিলেন। তিনি ১৭ই ডিসেম্বর প্রাতে উপাসনা শেষ করিয়া অপরাহ্নে আগ্ৰাদুৰ্গ পরিদর্শনে বহিৰ্গত হইয়াছিলেন। সম্রাজ্ঞী এই সময়ে নুরজাহানের পিতা এবং জাহাঙ্গীর বাদসাহের শ্বশুর উজির ইতিমদ্দৌলার প্রসিদ্ধ সমাধিমন্দির দর্শন করিয়াছিলেন। সন্ধ্যাকালে তিনি গৃহে প্ৰত্যাবৃত্ত হইলেন। সেই সময়কার সায়াহ্নভোজে সামরিক এবং অসামরিক উচ্চরাজপুরুষগণ উপস্থিত ছিলেন। আগ্রা হইতে ২২ মাইল দূরে ফতেপুর সিক্রি নামক নগর। ১৮ই ডিসেম্বর সম্রাজ্ঞী এই নগর দেখিতে যাত্ৰা করিলেন। ব্রিটিশ এবং মুসলমানি মনুমেণ্ট সমূহের সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট মিঃ স্তণ্ডারসন মহােদয় তাহার সঙ্গে থাকিয়া সমস্ত উল্লেখযোগ্য স্থান দেখাইয়াছিলেন। স্থাপত্যশিল্পের প্রকৃষ্ট নিদর্শন বলিয়া সম্রাজ্ঞী অত্যন্ত মনোযোগের সহিত “সালিম চিন্তি”র नमांक्षिश्शंन ७ैव कूकिं शक्नङानां शृश् प्रश्न করিয়াছিলেন। ১৯শে ডিসেম্বর পুনরায় তাজমহল দশন করিয়া আগ্ৰ ত্যাগ করিয়া তিনি জয়পুৱাভিমুখে যাত্রা করিলেন। 哥雷园对引1