পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদশন । సి উপবেশন করিলে একে একে মনিটারগণ ও প্রফেসরগণের সহিত পরিচিত হইলেন। প্ৰধান মনিটর জয়পুর-পিপলার কানোয়ার দেবী সিংহ তাহাকে একটি কলেজের এলবাম এবং কলেজপত্রিক উপহার দিয়াছিলেন । সম্রাঙ্গী অতঃপর ছাত্রদিগের আবাস দর্শন পূর্বক তঁহাদিগের নানাপ্রকার খেলা দেখিয়া পরম পরিতৃপ্ত হইলেন। ভরতপুরের বালক মহারাজও এই কলেজে অধ্যয়ন করিতেছিলেন। তিনি সম্রাজ্ঞীকে একটি রক্তবর্ণের গোলাপের তোড়া উপহার দিয়াছিলেন। মহারাণী ইহার পর কলেজের কাৰ্য্যে নিযুক্ত মহিলাদিগের সহিত আলাপ করিয়া বিদায়গ্ৰহণ করেন । তাহার আগমনোপ লক্ষে কলেজ ৭ দিন বন্ধ । রাখিবার আদেশ হইয়াছিল । সেখান হইতে তিনি রেসিডেণ্টের নিকেতনে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলে একটি মহাভোজের আয়োজন করা হইয়াছিল। এজেণ্ট মহোদয়, লেডী কলভিন এবং অন্যান্য অনেক উচ্চরাজকৰ্ম্মচারী ইহাতে নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । অন্যাসাগর নামক হ্রদের উদ্ধে অবস্থিত রেসিডেণ্টের আবাসগৃহ চিত্রের ন্যায় দেখাইতেছিল। এই হ্রদের তীরে সাজাহান-কৃত শুভ্র দরবারগৃহ এবং সুন্দর অলিন্দ শোভা পাইতেছিল। সান্ধ্যাভোজের পরিসমাপ্তির পরে মহারাণী রাজপুরুষগণ এবং কৰ্ম্মচারী পরিবৃত হইয়া আজমীরনগর দর্শনার্থ বহির্গত হইলেন । নগরটি এই সময় আলোকমালায় বিভূষিত হইয়া অপূর্ব শ্ৰীধারণ করিয়াছিল। সমাজ্ঞী পরদিবস প্রাতে মোটরযোগে পুক্ষরত্রদ দেখিতে যান। পুষ্কর হিন্দুদিগের চক্ষে অতি পবিত্র। এখানে চতুমুখ ব্ৰহ্মার প্রতিমূৰ্ত্তি উল্লেখযোগ্য। সমগ্ৰ ভারতে ব্ৰহ্মার মাত্ৰ চারিটি মন্দির আছে, পুষ্করে তাহার অন্যতম। প্ৰত্যাবৰ্ত্তনকালে সম্রাজ্ঞী পুষ্করতীর্থে কিছু দান করিয়া গিয়াছিলেন । এস্থান হইতে ফিরিয়া তিনি নগরদর্শন করেন । নগরটি অতি পুরাতন। ১৩৫ খৃঃ অব্দে ইহা স্থাপিত হইয়াছিল। আকবরের সময় হইতে মোগল বাদসাহগণ আজমীর দুর্গে অনেক সময়ে বাস করিতেন। বাদসহ জাহাঙ্গীর আজমীর দুর্গেই ভারতে সমাগত প্রথম ইংরাজ রাজদূতকে সাক্ষাৎ দান করিয়া আপ্যায়িত করিয়াছিলেন। ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে নগরটি মারাঠাদিগের হাত হইতে ব্রিটিশহস্তগত হয় । তদবধি ইহা ইংরাজের অধীনেই আছে। এই নগরে সম্রাজ্ঞী যত স্থান দেখিয়াছেন, তন্মধ্যে খাজা সাহেবের দরগা উল্লেখযোগ্য। সম্রাট আকবর এখানে প্রায়ই আসিতেন। ধৰ্ম্ম-প্ৰাণ মুসলমানগণের মধ্যে অনেকেই এস্থানটি দর্শনার্থ আগমন করিয়া