পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dàd R ভারত-পরিদশন । পরিদর্শন করিয়াছিলেন । তারপরে রৌপ্যময় পাল্কীতে আরোহণ করিয়া দরিখানা, ছত্তরমহল প্রাসাদ, সারবাগ, শিকার-বুরুজ এবং ফুলসাগর হ্রদ প্রভৃতি দর্শন করিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হইয়াছিলেন। সমস্ত দ্রষ্টব্যস্থান দেখা হইলে তিনি বুন্দিরাজকে নিজের ক্ষুদ্র একটি ছবি উপহার দান করিয়া কোটা রাজ্যাভিমুখে প্ৰস্থান করিলেন । কোটা রাজ্যের রাজধানী কোটানগরী চাম্বল নদীর অপর তীরে অবস্থিত । নদীর উপরে ভাসমান সেতু পার হইলেই কোটার এজেণ্ট মহোদয়ের গৃহ। কোটারাজ, এজেণ্ট লেফটেন্যােণ্ট কৰ্ণেল আর-বি-বারুকলি ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারিবৃন্দ সম্রাজ্ঞীকে বিশেষ আদর আপ্যায়নে অভিনন্দিত করিয়াছিলেন । সম্রাজ্ঞী কোটাতে উপস্থিত হইলেই মহারাজ “মেজাজ পুরুষি” নামক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান সমাধা করেন। মহারাজের পক্ষ হইতে দেওয়ান বাহাদুর এবং দুইজন সামন্ত সম্রাজ্ঞার কুশলবাৰ্ত্তা আনিবার জন্য এজেণ্টনিকেতনে গমনকরিলেন । রবিবার দিন সম্রাজ্ঞী যথাকীৰ্ত্তব্য উপাসনা করিয়াছিলেন । যে অল্প কয়েকজন ইউরোপীয় কোটাতে ছিলেন, ভঁাহারা সকলেই উপাসনাতে যোগ দিয়াছিলেন । তৎপর দিবস খৃষ্টমাস । এইদিন প্ৰাতেই উপাসনাদি শেষ করিয়া সমাজ্ঞা সন্ধ্যাকালে “লঞ্চ”যোগে নদীতে বেড়াইতে বাহির হইলেন । নদীর দুইতীরই পাহাড়ময়, আর তাহাতে অসংখ্য হিংস্র জন্তু বিচরণ করিতে দেখা গিয়াছিল। ভ্ৰমণ শেষে এজেণ্ট নিকেতনে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়া সম্রাজ্ঞী শিশু মহারাজ কুমারের নামে একটি ভোজ দেন । এই ভোজে তথাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সকলেই উপস্থিত ছিলেন । ২৬শে ডিসেম্বর, সম্রাজ্ঞা সঙ্গিগণসহ রাজকীয় গাড়ীতে চড়িয়া প্ৰাসাদ অভিমুখে চলিলেন। মহারাজের নিজের নেতৃত্বে কোটার অশ্বারোহী সৈন্যদল রক্ষীস্বরূপ সঙ্গে সঙ্গে চলিল। প্ৰাসাদ সমীপে পৌছিলেই গুরুগম্ভীর নিনাদে ৩১ বার সম্মান সূচক তোপধ্বনি হইল। অভ্যন্তর ভাগে প্রধান প্ৰধান সর্দারগণ এবং উচ্চরাজপুরুষগণ সমবেত ছিলেন। তাহারা সকলেই যথানিয়ম বশ্যতা স্বীকার-পূর্বক সম্রাজ্ঞীকে সম্মান করিলেন। অতঃপর তিনি প্রাসাদের প্রধান প্রধান কক্ষসমূহে পুরাতন অস্ত্রশস্ত্র এবং চিত্ররাজি সন্দর্শন করিয়া পরমপ্ৰতি লাভ করিলেন। কিছু জলযোগের পর তিনি নগরসমীপবৰ্ত্তী একটি পুষ্করিণীর ‘পবিত্ৰ কুম্ভীর সমূহ দেখিতে গিয়াছিলেন। সন্ধ্যা কোটায় যাত্রা ।