পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন। Gł একদিন রাওলপিণ্ডিতে সৈন্যগণের ক্রীড়া ও ব্যায়াম পরিদর্শন করিয়াছিলেন, এ কথা তাহারা নবাগত সৈন্যগণের নিকট গৌরবের সহিত ঘোষণা করিল। মধ্য-ভারতবর্ষের দুর্ভিক্ষ-পীড়িত পল্লীবাসিগণ গৌরব করিয়া বলিল, সম্রাটু একদিন নিজ হস্তে তাহাদিগের অভাব মোচন করিয়াছিলেন ও তাহদের পল্লীর মঙ্গলহেতু স্বীয় পবিত্ৰ পদ স্পর্শ দ্বারা ভূমির উর্বরতা সম্পাদন করিয়াছিলেন। অব্যবস্থচিত্ত সংবাদপত্র-পরিচালকগণের সহিতও যুবরাজ ঘনিষ্টভাবে আলাপ করিয়াছিলেন, ইহার ফলে তঁহাদের সুর অনেকটা বদলাইয়া গিয়াছিল,—এ কথা তাহারা বিস্মৃত হয় নাই। এই সকল কারণেও সম্রাটের অভিষেকোৎসব সাৰ্বজনীন গ্ৰীতির কারণ হইয়াছিল, এই অনুষ্ঠানের প্ৰয়োজন সকলেই বিশেষভাবে উপলব্ধি করিয়াছিলেন । কারণ, তাহা হইলে ভারতীয় নৃপতিবৃন্দ ও প্রজাকুল সম্রাটের নিকট বশ্যতা স্বীকারের সুযোগ পাইবেন এবং সম্রাটের অভয়বাণী ও আশীৰ্বাদ লাভ করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হইবেন । নূতন পথের যাত্রী পথপ্রদর্শক-আলোর অভাব অনুভব করিয়া থাকে। এ দেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল দেখা গিয়াছিল সত্য, কিন্তু রাজনীতির নব আদর্শ কোন দিকে লইয়া যাইতেছে, তাহা ভারতবাসী সম্যক ধারণা করিতে পারে। নাই। এ দিকে প্ৰাচ্য-জাতির শাসনসম্বন্ধে যে আদর্শ ছিল, গ্ৰীক-পণ্ডিতগণ । যে আদর্শকে বরণ করিয়া লইয়াছিলেন, নব শাসনপদ্ধতি সে আদর্শ বিচ্যুত হইয়া বণিক-বৃত্তি ও শুধু বিতর্কমূলক বিচারে পরিণত হইয়াছিল। রাজা-প্ৰজার যে পবিত্ৰ ভক্তিমূলক সম্বন্ধ, তাহা লাভ ক্ষতির হিসাব ও বাদানুবাদ দ্বারা অনুশাসিত হইতেছিল। শাসন বিষয়ে অবশ্যই লোকেরা ক্ৰমে বেশী অধিকার লাভ করিতে লাগিল । ইহার ফল যে সর্বতোভাবে শুভকরী তাহা বলা কঠিন। ভারতবাসীর হৃদয় চিরকাল একতন্ত্র KBBBD KKB S DDB DBYS S SDDBD SK BS DBLLLBD S SBDDLD ধারণারও পরিবর্তন হইল। আমাদের শাসনপ্ৰণালী এই কারণে প্ৰজার হৃদয়তন্ত্রী স্পর্শ করিবার শক্তি হারাইয়া ক্রমেই নীরস ও শুষ্ক হইয়া পড়িতেছিল। ১৯০৪ খৃঃ অব্দে রাজপ্ৰতিনিধি। কয়েকটা সুন্দর কথা বলিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন, “তোমরা প্ৰাচ্যদেশবাসীর মন অধিকার করিতে না পারিলে তাহাদিগকে শাসনের আয়ত্ত রাখিতে পরিবে না। যে মুহূৰ্ত্তে