পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦ ভারত-পরিদশন । রেক্টার এবং ভাইস চ্যান্সেলার মহোদয় তঁহাকে সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া লইলেন । উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তখন দণ্ডায়মান হইয়া সম্রাটের প্রতি সম্মান দেখাইয়াছিলেন। এদিকে সুস্বরে ব্যাণ্ডে জাতীয় মহাসঙ্গীত বাজিতেছিল। অতঃপর ভাইস চ্যান্সেলার মহোদয় নিম্নলিখিত ভাবের অভিনন্দন পত্ৰখানি পাঠ করিলেন :- “অদ্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হইতে আপনাকে অভিনন্দন প্ৰদান করিবার সুযোগ ও সম্মান লাভ করিয়া আমরা কৃতাৰ্থ হইয়াছি। ৬ই জুন লণ্ডনে যে অভিষেকোৎসব সম্পাদিত হয়, তাহাই ভারতবর্ষে অনুষ্ঠান করিাবার জন্য রাজদম্পতী এদেশে পদার্পণ-পূর্বক আমাদিগকে যেরূপ প্রীতিস্নেহ প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তজজন্য ভারতবর্ষের অপরাপর দেশবাসীর সঙ্গে আমরা আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। আমরা গৌরবের সহিত সেই দিনের কথা স্মরণ করিতেছি, ছয়বৎসর পূর্কে যেদিন আপনি যুবরাজরূপে এই নগরীতে আগমন পূর্বক কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের “ডাক্তার অফ ল” উপাধি গ্রহণ করিয়া আমাদিগকে সন্মানিত করিয়াছিলেন । আপনার স্বগগত পিতৃদেবও এইরূপ উপাধিগ্রহণপূর্বক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজসিংহাসনের যে শুভ সংযোগ স্থাপন করিয়া গিয়াছেন তাহা আপনাদের একরূপ বংশগত হইল, ইহা মনে করিয়া আমরা গৌরব অনুভব করিতেছি। আমরা কেবল কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নহে, সমগ্ৰ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মুখপাত্ৰস্বরূপ আপনার নিকটে উপস্থিত হইয়াছি । নিখিল ভারতীয় শিক্ষিত সমাজের এই সাদৰ্বিজনীন প্ৰতিনিধিত্ব গ্ৰহণ করিয়া অদ্য আমরা আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি । ভারতবর্ষ ইংলণ্ডের নিকট অগণিত সুখসৌভাগ্যের জন্য ঋণী। সেই ঋণের পরিমাণ করিয়া শেষ করা যায় না, এস্থলে তাহার পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন। কিন্তু একটি কথা বিশেষ উল্লেখাৰ্ছ, তাহা না বলিয়া পারিলাম না । প্ৰাচ্য ও প্রতীচ্যের মিলনে প্রাচ্যের জ্ঞানভাণ্ডার আমাদের নিকট উন্মুক্ত হইয়াছে, এই মহা ঋণ আমাদের চিরস্মরণীয়। আমাদের দেশ প্ৰাচীন সময়ে যে জ্ঞানগরিমায় উদ্ভাসিত হইয়াছিল, অদ্যাপি আমরা সেজন্য গৌরবমহিমায় মণ্ডিত হইয়া আছি। কিন্তু আমাদের সুখসমৃদ্ধি ও সর্বপ্ৰকার উন্নতিলাভ করিতে হইলে আধুনিক পাশ্চাত্য বিজ্ঞানে বুৎপন্ন হইতে হইবে। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও কলাকৌশল আয়ত্ত করিতে পারিলেই শিক্ষাসম্বন্ধে আমাদের প্রাচীন প্ৰতিষ্ঠা