পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YVo ভারত-পরিদর্শন । এই ভাবপ্রধান-রাজ্য-শাসন বিষয়ে তোমরা ভাবিহীনতা দেখাইবে, সেই মুহূৰ্ত্তেই এদেশের সাম্রাজ্য নিশ্চিতরূপে ধ্বংস প্ৰাপ্ত হইবে।” রাজাই এদেশের প্রজার মনোরঞ্জন করিয়া থাকেন। রাজনৈতিক অন্য কোন কথা এদেশবাসীরা বুঝে না। রাজা নিজেই শাসনের একমাত্র নিয়ন্তা, এবং প্রজাদের চক্ষে ইহুকাল ও পরকালের সহায়স্বরূপ । সুতরাং পরিচিত সম্রাটের সিংহাসনাধিরোহণের পর সকলেই যে উপদেশ ও সাহায্যের জন্য র্তাহার মুখাপেক্ষী হইবে, ইহা নিতান্ত স্বাভাবিক। সকলেরই খুব বিশ্বাস ছিল যে, এই উপলক্ষে সম্রাটের ভারতের সহিত পরিচয় ও সহানুভূতির ফল কাৰ্য্যতঃ প্ৰকাশ পাইবে। যদিও এ সম্বন্ধে ভারতবাসীর ধারণা কোন সুস্পষ্ট আকার ধারণ করে নাই, তথাপি তাহদের মনে মনে বিশ্বাস ছিল যে, এদেশে উৎসব। এমনভাবে অনুষ্ঠিত হইবে যে, তাহাতে ভারতবাসীর আশাভরসা। সফল হইবার নূতন পথ আবিষ্কৃত হইবে। “পুরাতন সমাজ নূতন পৃথিবীতে ধীরে ধীরে পদার্পণ করিতেছে, এই জন্য তাহার উপযোগী” করিয়া শাসনযন্ত্রের পরিবর্তন সাধিত হইবে, এবং রাজার সহিত গাঢ়তার সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠতর হইবে। কিন্তু এই আশাভরসা সত্বেও চিরাগত প্ৰথা অন্যরূপ, রাজসম্বৰ্দ্ধনার সুযোগ এ দেশে হয় নাই, তদনুসারে সম্রাটের উপস্থিতির উপর ভারতবাসী কোন দাবী করিতে পারে নাই । ফলতঃ ভারতসম্রাটু পদে অভিষিক্ত হইবার জন্য, তাহার ভারতবর্ষে আসিবার কোন আবশ্যক ছিল না। ইংলণ্ডের রাজমুকুট ভারতেরও বটে। তিনি যে স্বৰ্ণময় পরিচ্ছদে ভূষিত হইয়া ইংলণ্ডে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন তাহাতে ব্রিটিশ রাজ্য ও ভারতসাম্রাজ্য এই উভয় রাজ্যেরই আধিপত্য চিহ্ন গ্রথিত আছে। সুতরাং দূর হইতেই ভারতবাসীর তৃপ্তিলাভ করাই স্বাভাবিক । ১৯০৩ সনের অনুকরণে বৰ্ত্তমান দরবার তাঁহারই নির্বাচিত প্ৰতিনিধিদ্বারাই সুসম্পন্ন হইতে পারিত। কিন্তু, লর্ড কার্জন যে আশা দিয়াছিলেন ভারতবাসী তাহা বিস্মৃত হয় নাই। “বিজ্ঞানের প্রভাবে, যেরূপ স্থান ও সময়ের দূরত্ব ক্রমেই অন্তৰ্হিত হইতেছে, আমরা এখন আশা করিতে পারি,- কোন ভবিষ্যত রাজপ্ৰতিনিধির সময় এইরূপ অভিযেকোৎসবে যিনি স্বয়ং রাজ্যের কর্ণধার তিনি উপস্থিত হইবেন, এবং তঁহার প্রতিনিধি। তখন একটা डांब्राउब्र खांबथत्रांऊं ।