পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰত্যাবৰ্ত্তন । সম্রাজ্ঞী সহ সম্রাটু কলিকাতা ত্যাগ করিয়া বোম্বাই অভিমুখে যাত্র করিলেন। কেবল পথে নাগপুরে এক ঘণ্টা ট্ৰেণ থামিয়াছিল। নাগপুর মধ্য-প্রদেশের প্রধান নগর । ৯ই জানুয়ারী ২টা ১৫ মিনিটের সময় গাড়ী নাগপুর পৌঁছিল। মধ্য প্রদেশের চীফ কমিশনার স্যার রেজিনালন্ড ক্র্যাডক মহোদয় স্থানীয় উচ্চ রাজপুরুষ এবং অপরাপর সম্রান্ত ব্যক্তিবর্গ পরিবেষ্টিত হইয়া সম্রাটুদম্পতীকে অভ্যর্থনা করিলেন। সম্রাট ষ্টেশনে উপস্থিত হইয়া সম্মানিত রক্ষীর দল পরিদর্শনপূর্বক সস্ত্রীক ইতিহাসপ্ৰসিদ্ধ সীতাবলাদি দুৰ্গ পরিদশর্নার্থ যাত্ৰা করিলেন। এখানেই ১৮১৭ সনে কৰ্ণেল হোপটন স্কট মহারাষ্ট্র সৈন্যের আক্রমণ ব্যৰ্থ করিয়াছিলেন। ষ্টেশন হইতে দুৰ্গপৰ্য্যন্ত প্ৰায় ৩৪ মাইল ব্যাপক পথ জুড়িয়া পংক্তিবদ্ধ সৈন্যগণ পাহারা দিয়াছিল। সম্রাটু ও সম্রাজ্ঞী দুৰ্গে উপস্থিত হইলে হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, ও পাৰ্শীজাতীয় ৫টি বালিকা অগ্রসর হইয়া সম্রাজ্ঞীকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দিয়াছিল। জব্বলপুর ব্রিগেডের সেনাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারাল ওয়ালেস রাজদম্পতীকে দুর্গের সমগ্র দ্রষ্টব্য স্থান ভাল করিয়া দেখাইয়াছিলেন। গিরিসানুদেশে একটি উন্নত স্থানে চন্দ্ৰাতপরাজিত ক্ষুদ্র শিবির হইতে রাজদম্পতী প্ৰজাপুঞ্জকে দশনদানে কৃতাৰ্থ করিয়াছিলেন। এই উপলক্ষে নিকটবৰ্ত্তী নানাস্থানাগত অগণিত লোকসংখ্যা নাগপুর নগরে ভিড় করিয়াছিল। সাত হাজার স্কুলের ছাত্র এই স্থানে উপস্থিত ছিল। অতঃপর এম্প্রেস কটন স্পিনিং মিল নামক তুলার কলের সম্মুখে রাজদম্পতী একবার গাড়ী থামাইয়াছিলেন। মিলের সহকারী অধ্যক্ষ মহাশয়ের পত্নী সম্রাজ্ঞীকে এইসময়ে একটি ফুলের তোড়া উপহার দিয়াছিলেন। ট্রেণ ছাড়িবার পূর্বে সম্রাট মিলের অধ্যক্ষ খাঁ বাহাদুর বিজেনিস মেটাকে “নাইটু” উপাধি এবং মেজর এ এইছ বিনষ্ট নামক সামরিক নাগপুরে।