পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O ভারত-পরিদর্শন । জ্ঞানলাভ করিয়াছিলেন। এমন কি ভারতে যাহারা সমস্ত জীবন রাজকাৰ্য্য । করিয়া । এদেশসম্বন্ধে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিয়াছিলেন। তঁহাদের মধ্যেও কেহই সম্রাটুদম্পতীর মত এদেশের অনেকস্থান দেখেন নাই এবং তঁহাদের মত ইহার আভ্যন্তরীণ অবস্থা সম্বন্ধে অভিজ্ঞ ছিলেন না। সৌভাগ্যক্রমে সম্রাটু লর্ড হার্ডিঞ্জের ন্যায় রাজপ্ৰতিনিধি লাভ করিয়াছিলেন। তিনি সম্রাটের পিতার অতীব বিশ্বস্ত বন্ধু ও মন্ত্রী ছিলেন। সম্রাটের ভারতে আগমন তাহার এ দেশের প্রজাপুঞ্জের প্রতি কতটা গভীর প্রীতির পরিচায়ক, এই ব্যাপারে তিনি হৃদয়ের কতটা দৃঢ়তা প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন এবং বাধাবিঘ্ন অতিক্ৰম করিয়াছিলেন, তাহ অনেকে ধারণাই করিতে পরিবেন না। র্তাহার অকপট ও দৃঢ়-সংকল্পিত ভালবাসা ও বিশ্বাসের বলে তিনি কোনরূপ বাধাবিক্সের আশঙ্কায় স্বীয় স্থির অভিপ্ৰায় হইতে বিচ্যুত হন নাই। তিনি অবশ্যই জানিতেন যে এতদূরের পথপরিভ্রমণে তঁহাকে ও সাম্রাজ্ঞীকে অনেক অসুবিধা ও অস্বচ্ছন্দতা ভোগ করিতে হইবে । ভারতের জন্য স্বেচ্ছাপূর্বক এইরূপ কষ্টস্বীকারের ফলে ভারতীয় প্রকৃতিপুঞ্জ র্তাহাদিগের নিকট চিরকৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ হইয়াছে। সম্রাটের এই সাধু ইচ্ছা প্রচারিত হইলে, ভারতবাসী যেরূপ আনন্দলাভ করিয়াছিল। তাহা বৰ্ণনা করা যায় না । ১৯১০ সনের ১৮ই নভেম্বর লর্ড হার্ডিঞ্জ বোম্বাই গমন করিয়া সম্রাটের ভারতে আগমনের সংকল্প জ্ঞাপন করিলেন। ১৯১১ সনের ৬ই ফেব্রুয়ারী মাসে পাৰ্লিয়ামেণ্ট মহাসভায় সম্রাটু স্বয়ং তঁহার সাধুসংকল্পের কথা—সকলের নিকট প্ৰকাশ করিলেন। পরিশেষে ১৯১১ সনের ২৩শে মার্চ নিম্নলিখিত কথাগুলি ইংলণ্ডে ও ভারতবর্ষে সকলের নিকট বিধিমত ঘোষণা করা হইল । ভারতবর্ষে অভিষেকোৎসব সম্পন্ন হওয়া সম্বন্ধে সম্রাটের ঘোষণাপত্ৰ । “যেহেতু পুণ্যশ্লোক রাজা এডোয়ার্ড ১৯১০ খৃঃ অব্দের ৬ই মে লোকান্তরিত A হওয়ায় আমরা সিংহাসনে অধিরোহণ করিয়াছি, ভগবানের অনুগ্ৰহে এই উপলক্ষে আমরা গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ার্লণ্ডের যুক্তরাজ্য এবং সমুদ্র পারস্থ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সমূহের রাজা, ধৰ্ম্মরক্ষক এবং ভারত সম্রাটু স্বরূপ পঞ্চম জর্জ উপাধি গ্ৰহণ করিয়াছি; এবং, যেহেতু, ১৯১০ সালের ৭ই নভেম্বর তারিখে-আমাদের রাজত্বের C 1