পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR ভারত-পরিদর্শন । আনন্দের কথা আর কি হইতে পারে ? রাজদর্শনে ভারতবাসীর মনে যে ভাব SBDBD BBSS S BKS KBLuBD S BBD SDBBDDD DBDBD DDDS S DDYB একবার চক্ষে দেখিলেই তাহারা কৃতাৰ্থ হন, কিন্তু এই উপলক্ষে তাহদের মনে, আরও নানাপ্রকার আশঙ্কার সঞ্চার হইয়াছিল। উৎসবে নানারূপ অনুগ্রহ বিতরণের রীতি আছে। ভারতীয় রাজগণ এইরূপ উৎসবের সময়ে অর্থ, খিলাত ও বিবিধ ব্যক্তিগত অনুগ্রহ বিতরণ করিয়া থাকেন । কিন্তু রাজরাজেশ্বর অবশ্যই এমন কিছু করিবেন, যাহার ফল স্থায়ী এবং দেশ ব্যাপক হইবে। সকলের মুখেই প্ৰফুল্লতার চিহ্ন দেখা গেল। মোকদ্দমাকারিগণ মোকদ্দমা স্থগিত রাখিল । কারণ তাহদের বিশ্বাস হইল যে সম্রাটু আসিলেই তাহারা ন্যায়ানুমোদিত প্ৰতিকার পাইবে। রাজকৰ্ম্মচারিগণ রাজসান্নিধ্যে স্বকীয় কৰ্ত্তব্য সম্পাদনে গৌরব অনুভব করিতে লাগিল। কৃষক অনাবৃষ্টিতে ক্ষুব্ধ হইল না, সে বিশ্বাস করিল, রাজপদার্পণে ধরিত্রী স্বভাবতই শস্যশালিনী হইবে। বহুদূর হইতে যাত্রিগণ রাজাকে একবার দেখিতে পাইবে বলিয়া আসিতে লাগিল। গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধবাদিগণের জিহবা নীরব হইল। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই সর্বপ্রথম শুধু একটী মানবকে দর্শন করিয়া কৃতাৰ্থতা লাভ করিবার জন্য, ত্রিশকোটী লোকের সম্মিলিত দৃষ্টি নিবদ্ধ হইল। রাষ্টীয় ইতিহাসে এই ঘটনা একটি গুরুতর ব্যাপার। ইহাতে দেশময় রাজনৈতিক নব আকাক্ষা জাগ্ৰাৎ হইল। স্বদেশপ্ৰেম উন্নততর ও গভীর । হইল; জাতীয় জীবনে এক নূতন গৌরব প্রতিষ্ঠা পাইল, এবং এক রাজার প্ৰজা বলিয়া জাতিধৰ্ম্ম ও বর্ণনির্বিশেষে ভারত ও ইংলণ্ডের অধিবাসিবুন্দের মধ্যে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার বৃদ্ধি এবং জাতিগত সম্বন্ধ ঘনীভূত হইল। আবার সম্রাটু শুধু একক আসিবেন না । সাম্রাজ্ঞীও তাহার সঙ্গে এই দেশে পদার্পণ করিবেন। সাম্রাজ্ঞীর আগমন-সংবাদে লোকের বৈদিক যুগের কথা মনে পড়িল। বৈদিক যুগে রাজ্ঞী এবং পুরনারীগণ সর্ববিষয়ে তঁহাদের স্বামিগণের সমকক্ষ ছিলেন। ইংরেজজাতি রাজ্ঞীর প্রতি যে গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করে তাহ এবার ভারতবাসীর চক্ষে সমুজ্জ্বল হইল এবং এই মহিমান্বিত আদর্শ সম্মুখে দেখিয়া ভারতবাসী পুনরায় তাহদের নারীজাতির অবস্থা উন্নত করিতে শিক্ষা করিল। রাজাভিষেকের আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে যে গভীর ধৰ্ম্মভাব নিহিত ছিল, তাহা ভারতবাসীর হৃদয়ে বিশেষভাবে স্পর্শ করিয়াছিল। ভারতের রাজন্যবর্গের কয়েকজন