পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন । &8) এবং ভারতীয় সৈন্যদলের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিবর্গ ও প্রজাবগের প্ৰাদেশিক প্ৰতিনিধিগণ উপস্থিত থাকিয়া অভিষেক- ব্যাপার স্বচক্ষে দেখিবার সুবিধা পাইয়াছিলেন। অভিষেকের দিনটি ভারতবর্ষে শুভ উৎসব-দিবস রূপে গণ্য হইয়াছিল। চতুর্দিক হইতে রাজভক্তিপূর্ণ লিপি ও সংবাদ এত আসিয়াছিল যে রাজপ্ৰতিনিধি তাহাদ্বারা একরূপ বিব্রত হইয়া পড়িয়াছিলেন। প্ৰত্যেক শ্রেণীর লোকই স্বকীয় মনোভাব এরূপ সুন্দর ভাবে ব্যক্তি করিয়াছিলেন যে তাঁহাদের প্রত্যেকের উক্তিতেই, কিছু না কিছু চিত্তাকর্ষক বিশেষত্ব ছিল । কিন্তু এই উপলক্ষে যে আনন্দ ব্যক্তি হইয়াছিল, তদপেক্ষা অধিক অব্যক্ত আনন্দের ভাব সর্বত্র পরিলক্ষিত হইল । বোম্বাইএর এক সম্মিলনীতে, কোন বিখ্যাত ভারতবাসী, রাজার ভারতাগমন উপলক্ষে বলিয়াছিলেন যে, “আমরা যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে নগণ্য নহি, এবং অপরদেশের প্ৰজাদের সঙ্গে সমান অধিকার পাইবার যোগ্য, তাহা রাজাগমনে বিশেষভাবে সূচিত হইতেছে।” তিনি আরও বলিয়াছিলেন, “আমাদের শুভাশুভের প্রতি সম্রাটের যে সতত সহানুভূতিপূর্ণ দৃষ্টি আছে, এখন তাহা আমরা বিশেষভাবে বুঝিতেছি। আমাদের প্রতি র্তাহার উদার প্রীতি এই দেশকে উন্নতির পথে প্ৰবৰ্ত্তিত করিবে, এবং র্যাহারা এই দেশ শাসনে । নিযুক্ত আছেন, তঁহাদের উৎসাহ বন্ধিত হইবে। সম্রাটের আগমন আমাদের বৰ্ত্তমানের আনন্দ ও ভবিষ্যতের আশার উৎস স্বরূপ। স্বৰ্গীয়া ভারতেশ্বরী মহারাণী ভারতের শাসনভার গ্রহণ করিয়া ১৮৫৮ সনে যে উদার সহানুভূতির কথা বলিয়াছিলেন তাহ এবার সম্পূর্ণভাবে কাৰ্য্যতঃ সফল হইতে চলিল। ভারতেশ্বরী বলিয়াছিলেন, “ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অপরাপর দেশের প্রজাবর্গের সম্বন্ধে আমাদের যাহা কৰ্ত্তব্য ভারতবাসীর সম্পর্কেও তাহাই । সর্বশক্তিমান ভগবানের আশীৰ্বাদে বিশ্বস্তভাবে এবং বিবেক-বুদ্ধির সহিত এই দায়িত্ব পালন করিব।” সুতরাং ভারতসম্রাটু ও সাম্রাজ্ঞীর আগমন উপলক্ষে যে গভীর আনন্দ, উৎসাহ এবং রাজভক্তি প্ৰকাশিত হইতেছে তাহাতে আশ্চৰ্য্য হইবার কিছুই নাই। সত্যসত্যই রাজদম্পতী যে সম্বৰ্দ্ধনা লাভ করিয়াছিলেন তাহা জগতের ইতিহাসে বিরল। এই উপলক্ষে কোন অশুভ ঘটনার লেশমাত্র সুচিত হয় নাই। সম্রাটু যে উপযুক্ত পাত্রেই বিশ্বাস ন্যস্ত করিয়াছেন তাহাতে কাহারও কোন ভারতবাসীদের প্রকাশ্যভাবে कुट ऊडा थकान। स्छांझgडचौब्र €डियख् ि।