পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. ভারত-পরিদর্শন । তাহা সম্পূর্ণ অভিনব। সম্রাটের শুভাগমনে সকলেরই মনের উপর যেন এক তড়িৎপ্রবাহ বিস্তার করিয়াছিল। সকলেই তঁহাকে দেখিবার জন্য উৎকণ্ঠার সহিত অপেক্ষা করিতেছিল ; পূর্বদিবস রাজ্ঞী আলেকজান্দ্রার জন্মদিবস থাকাতে ধুমধামের মাত্রা খুব বেশী হইয়াছিল। নগরের বহির্দেশের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণগুলি সৈন্যগণে পূর্ণ ছিল, অবিরাম জনস্রোতঃ রেল ও অন্যান্য পণে বোম্বাই আসিতে লাগিল। সূৰ্য্যোদয়ের বহুপূর্বেই রাজপথসমূহ জনপরিপূর্ণ হইল। বােম্বাই প্রেসিডেন্সির সমস্ত প্ৰদেশ, এমন কি অন্যান্য দেশ হইতে আগত নানাভাষাভাষী, বিচিত্র পরিচ্ছদে ভূষিত জনমণ্ডলীর অপূর্ব দৃশ্য নেত্রপথে উদঘাটিত হইল। বেলা আটটা বাজিবার কিছু পরে কামানের তিনটী উচ্চশব্দে সকলেই জানিতে পারিল দক্ষিণপূর্বের “প্ৰঙ্গসূ” আলোগুহ হইতে সম্রাটের জাহাজ দেখা গিয়াছে। অমনি একযোগে সকলের দৃষ্টি সেই দিকে নিবন্ধ হইল। এই বিচলিত জনস্রোতের পার্শ্বে সমুদ্ৰ যেন ঘুমাইয়া ছিল। অতি ক্ষীণ বায়ুপ্রবাহে ইহার উপরিভাগ সময়ে সময়ে মৃদুভাবে আন্দোলিত হইলেও, বিশাল জলরাশি নিস্তব্ধ ছিল। উহা বার্নিস করা পিত্তলের ন্যায় মসৃণ দেখাইতেছিল। সমুদ্রতীর অল্প কোয়াসাবৃত থাকাতে দিবাভাগে প্রখর উত্তাপ হইবার আশঙ্কা জন্মিয়াছিল। বন্দরের প্রত্যেক জাহাজই সুন্দরীরূপে সজ্জিত হওয়ায়, তাহদের উজ্জ্বল ও বিচিত্ৰবৰ্ণরাশির ছটা যেন চতুর্দিকে রূপের হিল্লোল তুলিয়াছিল। পূর্বভারতীয় স্টেশনের প্রধান রণতরী “এইচু, এম, এস” “হাইফ্লাইয়ার” এবং “এইচু, এম, এস” “স্ফিঙ্কস” ও “এইছ এম এস” “ফক্স” নামক রণতরীত্ৰিয়ও ইহাদের মধ্যে ছিল। ইহারা কিছুকাল পূর্বে পারস্য উপসাগরের যুদ্ধকাৰ্য্যে লিপ্ত ছিল। বন্দর হইতে রাজকীয় জাহাজগুলির বিরাটুপংক্তি প্রথমতঃ শুধু মুষ্টিমেয় ধূমের আকারে দেখা গেল। অনতিবিলম্বে শ্বেতবর্ণ “মেদিন” সমান ব্যবধানে অবস্থিত ক্রুজার চতুষ্টয়সহ অগ্রসর হইতেছে স্পষ্ট দেখা গেল। ধীরে ও নীরবে জাহাজগুলি বন্দরে পৌছিল এবং সাড়ে নয়টার সময় “মেদিন|” ‘মিডুলা গ্ৰাউণ্ডের” পূর্ব তীর হইতে আড়াই মাইল দূরে নাঙ্গর করিল। তখন “হাইক্লায়ার” রণপোত এবং বন্দরের সমস্ত যুদ্ধজাহাজ যুগপৎ তোপধ্বনি পূর্বক সম্রাটের শুভাগমনে BLBDBkBB D DBDDD DBD S ১৯১১ সনের ১১ই f5c不可预1