পাতা:সরল গণিত (তৃতীয় ভাগ - জ্যামিতি) - গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পরিঃ ] পরিভাষা । Roð ৫ । মানমনস্তাৱ সমতল তাহাদিগকে বলে, যে সকল সমতল যতদূর ইচ্ছা বন্ধিত করিলেও মিলিত হয় না। ৬ । দুইএর অধিক ভিন্ন ভিন্ন সমতলস্থিত কোণসমূহ এক বিন্দুতে মিলিত হইলে যে কোণ উৎপন্ন হয়, তাহাকে ঘনকোলন বলে। তাহা তিন, চারি, অথবা ততোধিক সমতলস্থ কোণ দ্বারা উৎপন্ন হইলে তাহাকে যথাক্রমে, ত্ৰিভূমিক বা ত্ৰিপুষ্ট্য, চতুভূমিক বা চতুস্পষ্ঠ্য, অথবা বহু ভূমিক বা বহু প্ৰষ্ঠ্য, কোণ বলে। যে ঘনকোণের ভূমিগুলি বা পৃষ্ঠগুলি একটি সমতলদ্বারা ছেদিত হইলে ছেদজী ক্ষেত্রে একটিও বিরূপ বা উল্টা কোণ থাকে না, তাহাকে কুক্ত ঘনকোণ বলে । ৭ । যে বহু পৃষ্ঠ ঘনায়তন কতকগুলি সমতল ক্ষেত্রেব এরূপ যোগে উৎপন্ন যে তন্মধ্যে ভূমি বলিয়া অভিহিত একটি ভিন্ন অপর ক্ষেত্রগুলি সমস্ত শশীকৰ বিন্দী নামক এক বিন্দুতে মিলিত, তাহাকে সূচী বলে। ৮ । যে বহু পৃষ্ঠ ঘনায়তনেৰ দুই পৃষ্ঠ ( যাহাঁদের ভূক্ষিন বলে ) সমান্তর সদৃশ ও সমান ঋজুরৈখিক ক্ষেত্র, এবং অপর পৃষ্ঠগুলি ( যাহাঁদের পার্শ্বপুপ্ৰভা বলে ) সামান্তরিক, তাহাকে ফলক বলে। এবং যদি পাশ্বপূষ্ঠগুলি ভূমির লম্ব হয়, তাহা হইলে ফলককে সেনাজী ফলক বলে। ৯ । যে ফলকেৰ ভূমিদ্বয় দুটি সামান্তবিক তাহাকে অনাস্থানান্তৱিক পুষ্ট বলে । ১০ । ব্যাসকে স্থির রাখিয়া তাহার চতুস্পার্থে বৃত্তাদ্ধকে ঘুর্ণ্যমান করিলে যে ঘনায়তন উৎপন্ন হয়, তাহাকে গোলক বা বৰ্ত্তল। বলে । ১১। আয়তের এক বাহু স্থিব বাখিয়া তাহার চতুস্পার্থে আয়তকে ঘূর্ণ্যমান কবিলে যে ঘনােয়তন উৎপন্ন হয়, তাহাকে সেনাজা আভন্তু বলে। ১২ । সমকোণী ত্রিভুজের সমকোণ সংলগ্ন এক বাহুকে স্থির রাখিয়া তাহাব চতুষ্পার্থে ত্ৰিভুজকে ঘূর্ণ্যমান করিলে যে ঘনায়তন উৎপন্ন হয় তাহাকে সেনাজা হৰক্তসম্রাজী বলে। ১৩। চারিটি সমান সমবাহু ত্রিভুজের যোগে উৎপন্ন আয়তনকে চতুস্পষ্ট বলে।