পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○9 আদি ও ব্রাহ্মণ্য-যুগ গং আওড়াইয়া কোন কালেষ্ট ক্ষান্ত তন নাই । ধীরে ধীরে রামায়ণের মধ্যে তাহারা নিজের কথা ঢুকাইতে সুরু করিয়া দিলেন । কুক্তিবাস রামায়ণ খানি কি রকম লিখিয়াছিলেন, এখনও তাহা ঠিক জানা যায় নাই । কিন্তু এখন কুক্তিবাসী রামায়ণ বলিয়া আমরা যে বইটি পড়ি, তাহা অনেকটা অন্যরূপ ধারণ করিয়াছে । “কবিচন্দ” নামক এক লেখক অঙ্গদ রায়বার’টি কৃত্তিবাসী রামায়ণের সঙ্গে জুড়িয়া দিলেন এবং সম্ভবতঃ ইনিষ্ট লঙ্কাকাগুটি সম্পূর্ণ নুতন করিয়া লিখিয়া ফেলিলেন । কোথায় রহিল পড়িয়া নরবানর রাক্ষসের ঘোর সিংহানদ, ভীষণ যুদ্ধ —কৃত্তিবাসী লঙ্কাকাণ্ডে মৃদঙ্গ লষ্টয়া ভক্তগণ নাম সংকীৰ্ত্তন মুরু করিয়া দিলেন । কোন কোন রাক্ষস পরিপাট করিয়া তিলক কাটিয়া সৰ্ব্বাঙ্গে নামের ছাপ দিয়া রামের কাছে গড়র পক্ষীর মত জোড় হাত করিয়া দাড়াইলেন, কোন রাক্ষস রামের স্তোত্র পড়িয়া তাহার নিকট নিজের জীবন নিবেদন করিয়া দিলেন। স্বয়ং রাবণ রাজা “জন্সিয়া ভারত-ভূমে আমি দুরাচার, করেছি পাতক কত সংখ্যা নাছি তার” বলিয়া নিতান্ত অমৃতপ্তের স্তায় পরিতাপ করিতে