পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য ما لا কেনারাম স্তব্ধ হইয়া শুনিতে লাগিল। ক্রমে লখীন্দরের জন্ম—লোহার বাসর—এই সমস্ত পর পর গাওয়া হইল। কিন্তু যখন বেহুল রাঢ় হইল, গানের সেই ংশ শুনিয়া ডাকাতের স্তব্ধ হইয়া গেল। কেনারাম নিজেও যেন কেমন হইয়া গেল, বাঘ যেন মানুষ হইল । ইহার পরে মরা স্বামীকে বুকে লইয়া বেহুল ভাসিয়া যাইতেছে। তখন কেনারাম আর নিজকে সম্বরণ করিতে পারিল না। বংশীদাসের কন্যা চন্দ্রাবতী লিখিতেছেন— “যখন গাহিল পিতা বেহুল ভাসান, হাতের খাণ্ডা ভূমে ফেলি কাদে কেনারাম।” ষে বিধাতা কেনারামের মনটা পাষাণের মত শক্ত করিয়াছিলেন, তিনি আবার তাহ ফুলের মত কোমল করিয়া ফেলিলেন । এর পর আর এক আশ্চৰ্য্য ঘটনা, —যে যার গলা খড়গ দিয়া কাটিবে সে তার পা ধরিয়া বসিয়া আছে। কেনারামের বিপুল সম্পত্তি সে বংশীকে দিতে ইচ্ছুক হইল, কিন্তু বংশী বলিলেন, “তুমি মামুষের রক্ত দিয়া হাত রাঙ্গাইয়া যাহা পাইয়াছ, আমি