পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ প্রবন্ধ । ১৩১ শ্রুতি ও বলিয়াছেন— যে পৰ্য্যন্ত সাধকের অজ্ঞান ঘুচিয়া অদ্বৈতজ্ঞান না হয় ততদিন সাধক মনে মনে ভাবিৰেন যে এই জগতে যাহা কিছু আছে সে সমস্তেই ঈশ্বর বর্তমান রহিয়াছেন এবং এই জগতে যাহা কিছু ঘটতেছে সে সমস্তই ঈশ্বর করিতেছেন এবং ঈশ্বর হইতে পৃথক কিছুই নাই। এই ভাবনা মুস্থির করত সাধক সমস্ত কৰ্ম্মের ফলাফল ঈশ্বরের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিবেন। যেহেতু ঈশ্বর ব্যতীত কোন বস্তই নাই এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই ঘটে না। অতএব সাধক কোন ধনেরই আকাঙ্ক্ষা করিবেন না । বাস্তবিক কোন ধনেই কাহারও নিত্য সত্ত্ব নাই। ঈশ্বর যখন ষাহাকে যে ধন দেন তখন সে সেই ধন প্রাপ্ত হয় এবং ঈশ্বর যখন যাহার নিকট হইতে যে ধন কাড়িয়া লইতে ইচ্ছা করেন তথন সেই ধন তাহার নিকট হইতে চলিয়া যায়। কিন্তু ঈশ্বর যাহা করিতেছেন তাহাই হইতেছে, জীবের স্বতন্ত্র কোন ক্ষমতা নাই ইহা বুঝিয়া সাধক কি সমস্ত কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিবেন ? শ্রীতি বলিতেছেন সাধকের পক্ষে কৰ্ম্ম পরিত্যাগ বিহিত নহে। অবশ্য সাধক যখন যোগারূঢ় হইবেন তখন তাহার কথা স্বতন্ত্র। কিন্তু যতদিন না তিনি যোগারূঢ় হইবেন ততদিন সাধক ফলনিরপেক্ষ হইয়া আপন কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সম্পাদনের জন্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন এবং অকৰ্ম্ম ও বিকৰ্ম্ম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক নিষ্কামভাবে আপন কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম করিয়া তদ্বারা ঈশ্বরের অর্চনা করত যাহাতে সুস্থ শরীরে বুদ্ধকাল পর্য্যন্ত জীবিত থাকিতে পারেন তাহার বিধান করিবেন। কেবল এই ভাবে চলিলেই জীব কৰ্ম্মবন্ধন হইতে মুক্ত হইতে পারেন। ইহা ব্যতীত কৰ্ম্মবন্ধন এড়াইবার অন্ত উপায় নাই । আত্মতত্ত্বাঙ্গুসন্ধানবিমুখ মূঢ়ের ঈশ্বরকে স্মরণ করে না। তাহার পুরুবকারকেই সৰ্ব্বস্ব মনে করে। তাহারা অমুরদিগের গতি প্রাপ্ত হয়। এবং মৃত্যুর পর অজ্ঞানতমসাচ্ছন্ন অস্করলোকে গমন করে। ঈশ্বর সমস্ত লোকের এবং সমস্ত ভূতের আত্মা । তাহার কখন কোন প্রকার পরিবর্তন হয় না। তিনি স্বগত-স্বজাতীয়-বিজাতীয় ভেদ-রতি