পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ ৷ সরল বেদস্ত দশন । একমাত্র পারমাণিক সত্য। তিনি সৰ্ব্বব্যাপী সুতরাং মন অপেক্ষ দ্রুতগামী। মন কোন বিষয় ভাবিবার পূর্কেই ঈশ্বর সেখানে উপস্থিত থাকেন। তিনি কোন ইন্দ্রিয়েরই গম্য নহেন। জীবের দর্শন, শ্রবণ, প্রাণ, স্পর্শন, । এবং আস্বাদনশক্তি যতদূর স্বল্প দ্রব্য অনুভব করিতে পারে তিনি তাহ হইতেও স্বগ্নতর। তিনি স্বয়ং নিশ্চল ও অবিক্রিয় হইলেও ধাবমান সমস্ত পদার্থ অতিক্রম করিয়া অবস্থিতি করেন। তিনি নিত্য-চৈতন্তাত্মম্বরূপে সকলের আস্পদভাবে থাকেন বলিয়াই এই জগৎ প্রতিষ্ঠিত থাকে। তিনি বাস্তবিক নিৰ্ব্বিকার হইলে ও বিকারশাল ভাবে প্রতিভাত হন । তিনি অজ্ঞানীর পক্ষে কোটা কোট বৎসরেও অপ্রাপ্য কিন্তু ভক্তগণের পক্ষে সুলভ। তিনি সকলেরই আত্মা সুতরাং সকলের অভ্যন্তরে আছেন। সমস্ত জগং তাহাতে প্রতিষ্ঠিত, সুতরাং সমস্ত জগতের বাহিরে তিনি বর্তমান । যে সাধক সমস্ত ভূতগণকে আত্মাতে এবং আত্মাকে সমস্ত ভূতগণে জুশল করেন তিনি আত্মতত্ত্ব বিদিত হন। আত্ম তত্ত্ব বিদিত হইয়া সাধক যখন দেখিতে পান যে এক অস্থয় আত্মা ভিন্ন আর কোন পদার্থেরই বাস্থবিক অস্তিত্ব নাই, সমস্তই আত্মা মাত্র, তখন তাহার দ্বৈতভ্রম বিলুপ্ত হয় এবং তাহার পক্ষে শোক ও মোহের কোন কারণ থাকে না । তখন তিনি চৈতন্য-জ্যোতিৰ্ম্ময়, স্থল-স্বল্প-শরীয়বর্জিত, অখণ্ড, নিৰ্ম্মল, এবং ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদিবন্ধ-বিনির্মুক্ত হইয়া সৰ্ব্বদর্শী, অব্যক্ত, সৰ্ব্বব্যাপী, সৰ্ব্বস্রষ্ট, সৰ্ব্বেশ্বর, নিত্য, শুদ্ধ, বুদ্ধ, মুক্ত, পরমাত্মার সহিত অভিন্ন হুইয়া যান । ইহাই বেদন্তিশাস্ত্রের শিক্ষণ এবং ইহাই বেদান্তশাস্ত্রের তাৎপর্য্য। যদিও অনেকে বেদান্তশাস্ত্রোপদিষ্ট আত্মজ্ঞানকে নীরস বলেন কিন্তু বাস্তবিক ইহা নীরস নহে। যাহার কথন শর্কর আস্বাদন করেন নাই তাহার শর্করার স্বাদ জানেন না । সেইরূপ র্যাহারা আত্মতত্ত্ব উপলব্ধ করিতে পারেন না তাহারা আত্মজ্ঞানের রস কি জানিবেন ? - কঠোপনিষৎ শ্রুতি বলিয়াছেন— লেই আত্মা ভিন্ন অন্ত কোন পদার্থেরই বাস্তৰিক অস্তিত্ব নাই। সুতরাং