পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ সরল বেদন্তি দর্শন । যাহাঁদের স্থির বিশ্বাস হইয়াছে এবং ইহঁার ধ্যান দ্বারা যাহারা ইহাকে অপরোক্ষভাবে দেখিবার অধিকারী হইয়াছেন, কেবলমাত্র তাহারাই ইহঁাকে অপরোক্ষভাবে জানিয়া আপনাদিগকে অজর অমর, চিন্ময় আত্মা বলিয়া জানিতে পারেন । প্রশ্নোপনিষদ, বলিয়াছেন ভগবান পিপৃপলাদ মুকেশাঋষিকে বলিলেন,—হে সৌম্য ! যে পুরুষে এই ঘোড়শ-কলাময় জগৎ ভাসমান হয়, সেই নিষ্কল পুরুষকে জানিবার জষ্ঠ দেশান্তর যাইতে হয় না। এই শরীরের অভ্যন্তরে হৃদয়াকাশেই র্তাহাকে দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু হৃদয়াকাশে তাহাকে দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া কি তাহার আয়তন অতি ক্ষুদ্র ? না, তাহা নহে। :স্তবিক তাহারই মায়াবশে দ্রষ্ট-দৃশ্য-সম্বলিত এই সমস্ত জগৎ তাহাতে ক যান । “কাহার উংক্রাস্তিতে আমিও উৎক্রান্ত হইব এবং কে প্রতিষ্ঠিও থাকলে আমি ও প্রতিষ্ঠিত থাকিব” ইহা ভাবিয়া তিনি সৰ্ব্বপ্রথমে (১) প্রাণকে স্বষ্টি করিয়াছিলেন। অনন্তর তিনি (২) বিজ্ঞান, (৩) আকাশ, (৪) বায়ু, (৫) অগ্নি, (৬) জল, (৭) পৃথিবী, (৮) ইন্দ্রিয়সমূহ, (৯) অন্তঃকরণ, (১) ধান্ত যবাদি অন্ন (১১) ভুক্তঅন্ন হইতে উৎপাদ্য সামর্থ্য, (১২) সৰ্ব্বকৰ্ম্মসাধনরূপ তপস্তা, (১৩) বেদোক্ত মন্ত্র সকল, (১৪) বেদোক্ত কৰ্ম্ম সকল এবং (১৫ কৰ্ম্মের ফল সকল এবং (১৬) বস্তু ও ব্যক্তি সকলের নাম সৃষ্ট হইয়াছিল। যেমন সমুদ্রবাস্প হইতে উদ্ভূক্ত নদী সকল যতক্ষণ প্রবাহিত থাকে ত - তাহদের পৃথক পৃথক নাম থাকে, কিন্তু সমুদ্রে পতিত হইবার পর ৬হাদের ভিন্ন ভিন্ন রূপ ও নাম বিলুপ্ত হইয়া যায় এবং সমস্ত জলরাশি তখন কেবল সমুদ্র নামে অভিহিত হয়, সেইরূপ পুরুষ হইতে সস্তৃত এই ষোড়শকলা মহা প্রলয়কালে পুরুষে বিলীন হয় এবং তাহাদের নাম ও রূপ বিলুপ্ত হয়। তখন আর কোন প্রকার ভেদ থাকে না এবং তখন যে সৎ চিৎ পদার্থ মাত্র বর্তমান থাকেন তাহা কেবল পুরুষ নামে অভিহিত হইয় থাকেন। যে সাধক ভগবদ্ভক্তগণ এবং গুরু কর্তৃক উপদিষ্ট হইয়া